অপহরণের পর মুক্তিপন দিতে না পারায় অপহরণকারীদের হাতে খুন হলেন ছাইদুর রহমান (৪০)। নিহত ছাইদুর উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে বলে জানা গেছে । তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ আজ সোমবার সকালে গুনাইগাঁতী গ্রামের পাশের নদী থেকে ছাইদুর রহমানের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়- গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ছাইদুর রহমান অপহৃত হন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক ছাইদুরের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে “দৈনিক দৃশ্যপট” প্রতিবেদককে জানান- ২৪ সেপ্টেম্বর ছাইদুর সন্ধ্যার আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। ২৫ সেপ্টেম্বর ছাইদুরের কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তার (ছাইদুর) পরিবারের মোবাইল ফোনে তাকে মুক্তির জন্য অপহরনকারীরা দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। একাধিকবার মুক্তিপণের টাকার দাবিতে মোবাইল করে অপহরণকারীরা। কিন্তু ছাইদুরের পরিবারের পক্ষে এত টাকা প্রদান সম্ভব নয় বলে জানানো হয় অপহরণকারীদের। আজ ২৬শে সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন গুনাইগাঁতী গ্রামের পাশের নদীতে ছাইদুর রহমানের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় খবর দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পাওয়ার পরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, ছাইদুরের মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছাইদুরকে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর অপহরণকারীরা নদীতে লাশটি ফেলে দিয়ে চলে যায়।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের জানান- পুলিশ ইতোমধ্যেই মোবাইল ফোনের সূত্রধরে খুনিদের শনাক্ত এবং তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের প্রচেষ্টা শুরু করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।