আমার ৫ বার বাইপাস সার্জারি হয়েছে।হার্নিয়া ও পিত্ততলির অপারেশন হয়েছে।৩৬টা দাতের মধ্যে ১৮টিই নেই।এই যে দেখতে পাচ্ছেন- এই দাতগুলো আমি বাঁধাই করে চলছি।তাই আমি বলি-আই অ্যাম অ্যা রিকন্ডিশন্ড ম্যান।বৃহস্পতিবার(২৮ জুলাই দুপুরে)নগরের এম এম আলী রোডস্থ রয়েল গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে লিভার কেয়ার সোসাইটি,চট্টগ্রাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় একুশে পদক পাওয়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক এভাবেই নিজের শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন।
এতকিছুর পর ৮২ বছর বয়সেও বেঁচে থাকায় আল্লাহর কাছে শোকরিয়া প্রকাশ করেন তিনি, জানান ডাক্তারদের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা।আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ও ডাক্তারদের সহযোগিতায় আমি এখনো বেঁচে আছি-বলেন তিনি।
চিকিৎসক পেশাকে শ্রেষ্ঠ পেশা উল্লেখ করে প্রবীণ সাংবাদিক এম এ মালেক বলেন,ডাক্তারি একই সঙ্গে পেশা ও সেবা।এই দুটি বিষয়ের সম্মিলনের সুযোগ অন্য পেশায় কম।তাই এই পেশাকে আমি শ্রদ্ধা ও সাধুবাদ জানাই।এসময় রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের আরও ভালো ব্যবহার করলে তারা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।দৈনিক আজাদী সম্পাদক হেপাটাইটিস ভাইরাস নির্মূল ও সচেতনতা সৃষ্টিতে লিভার সোসাইটি,চট্টগ্রামের নানামুখী কর্মকাণ্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং নিজের সম্পাদিত পত্রিকায় এসব কাজের প্রচার ও বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন প্রচারের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিভার সোসাইটি,চট্টগ্রামের সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রোবেদ আমিন,বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মুজিবুল হক খান,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. অলোক কুমার সাহা,পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মুসলিম মিয়া,চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ফরিদুল আলম,১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিন।অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি এম এম রোড প্রদক্ষিণ করেন।