মোঃ নুরুল ইসলাম,ভোলা জেলা প্রতিনিধি: আকস্মিক ঝড়ে ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বিপুল সংখ্যক গাছপালা। ঝড়ের কবলে পড়ে মনুপরার দাসের এলাকায় ৬ মাঝি মাল্লাসহ একটি জেলে ট্রলার ডুবে গেছে। এছাড়া লালমোহনের বদরপুরে ঘরচাপায় হারিস নামের এক বৃদ্ধ ও তুজমিদ্দনের শম্বুপুরে মো. মনজুরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক ঝড়ের মধ্যে বজ্রপাতের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টায় ঝড়ে মনপুরার হাজির হাট ইউনিয়নের দাসেরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অধিকাংশ ঘরের চাল বেড়া উড়ে যায়। এ সময় দাসের হাটের মেঘনায় মাছ ধরা অবস্থায় ৬ জেলেসহ জুয়েল মাঝির ট্রলার ডুবে যায়। তবে অন্য ট্রলারের সহায়তায় তাৎক্ষণিক সবাইকে জীবিত উদ্ধার হলেও ট্রলারটি পাওয়া যায়নি।
একই সময়ে লালমোহনের বদরপুরে মো. হারিস (৭০) নামে এক বৃদ্ধ ঘরচাপায় মারা যায়। ঝড়ের সময় একটি ঘরের নিচে আশ্রয় নেন হারিস। ওই ঘরটিই ভেঙে চাপা পড়েন তিনি। তার বাড়ি একই উপজেলার ফরাশগঞ্জ ইউনিয়নে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের জন্য ৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এছাড়া লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে তজুমদ্দিনের শম্ভুপুরে স্কুল শিক্ষক মো. মনজুরুল ইসলাম ঝড়ের মধ্যে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের শব্দে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। তিনি পূর্ব গোলকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তালিকার কাজ চলছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘লালমোহনে ঘরচাপা পড়ে মৃত হারিসকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা শেষে আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’