ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া তিন দিনের ব্যবধানে আবার ও চেকপোস্টে দুই ভারতীয় যাত্রীর লাগেজ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকার ভারতীয় থ্রি-পিস জব্দ করা হয়েছে।সোমবার সন্ধ্যায় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টম্স ও এনএসআই’র যৌথ অভিযানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টকালে ভারতীয় কাপড়ের এ বড় চালানটি ধরে পরে।আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়,সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ভারতের পাসপোর্টধারী দুই নাগরিক আবির রায় ও হেমলাল মন্ডল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।ইমিগ্রেশনে তাদের কাজ সম্পন্ন হলেও তারা ইমিগ্রেশন ত্যাগ না করে বড় আকারের ছয়টি লাগেজ নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে যাত্রী ছাউনিতে বসে থাকেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানতে পেরে কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী ও কাস্টমস স্থল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ ওই দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে কাস্টমস ভবনে নিয়ে আসেন।এসময় তাদেরকে সহযোগিতা করেন কাস্টমস ও এনএসআই।পরে কাস্টমস হাউজে তাদের লাগেজ তল্লাশী করে বিভিন্ন ধরনের ২৮০টি থ্রি-পিস জব্দ করা হয়।যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা।এসময় ওই ভারতীয় নাগরিকরা জানায় তারা কোলকাতা থেকে কাপড় নিয়ে এসেছে।এগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের কয়েকজন নাগরিক দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।অভিযোগ আছে,স্থানীয় কিছু লাগেজ পার্টি এর সাথে জড়িত রয়েছে।এরাই ভারতীয়দেরকে ব্যবহার করে এসব কাপড় আনছে।পরে বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাপড়গুলো বের করে নিয়ে যায়।আবার অনেক সময় কাস্টম্সে প্রবেশ না করে ভিন্ন পথে নিয়ে যায়।
এসব কাপড় ঢাকা,চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। আখাউড়া কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী বলেন,থ্রি-পিস গুলি নিয়ম বহির্ভূত আনায় সেগুলো তালিকা(ডিএম)করা হয়।নিয়ম অনুযায়ী ৪-৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্টধারীরা চাইলে নির্ধারিত সকল ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে মালামাল গুলি নিয়ে যেতে পারবেন।এই সময়ের মধ্যে পণ্য না নিলে আমরা স্থায়ীভাবে জব্দ করে গোডাউনে পাঠানো হবে।