সেলিম মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টার: মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার,আগামী ২২ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান দ্বিতীয় পর্বের সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বিদের কাছে ইজতেমার ময়দান বুঝিয়ে দেন। এর আগে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম পর্বের আয়োজক হাফেজ জুবায়ের অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নানসহ অন্য মুরব্বিরা জেলা প্রশাসনের কাছে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেন।
মাওলানা সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার বিদেশি মেহমান বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে তাবলীগে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া সারাদেশ থেকে ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্তসহ নির্দেশনায় ডিএমপির প্রগতি সরণি থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন করা হবে। ২২ জানুয়ারি উত্তরার বাসিন্দা, উড়োজাহাজের যাত্রী ও উড়োজাহাজের ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া, বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহণ সার্ভিসের জন্য ভোররাত চারটা থেকে মোতায়েন থাকবে। এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিশ্ব ইজতেমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান:বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
জিএমপি কমিশনার বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে পুরো বিশ্ব ইজতেমাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথম পর্বে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এবারও ঠিক আগের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট থাকবে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে ৭ হাজার ৫৩৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।