শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দির শামসুল হক হাওলাদারের বিরুদ্ধে এমনি এক অভিযোগ করেছেন ভারত থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে মামুন মিয়া(২৭)নামের এক যুবক তার বাড়ি জাজিরা পৌরসভার দক্ষিন ডুবলদিয়া কাজির হাট এলাকায়। মামুন মিয়া আমাদের কে জানান ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া বৈধ ভাবে যাবার উদ্দেশ্যে শামসুল হক হাওলাদারের কাছে আমার পাসপোর্ট জমা দেই এবং সাথে দেড় লক্ষ টাকা অগ্রীম, তার কিছু দিন পরে আমাকে জানানো হয় আমার ভিসা প্রসেসিংএর কাজ শেষ, আমাকে মালয়েশিয়া যাবার জন্য ঢাকা ডেকে আনেন শামসুল হক হাওলাদার, তারপর আমি আসার পরে আমাকে জানানো হয় বর্তমানে বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে একটু ঝামেলা করে তোমাকে ইন্ডিয়া দিয়ে শ্রীলংকা হয়ে মালয়েশিয়া পাঠাবো আমাকে আরো জানানো হয় তোমার কোন ভয় নেই তোমার সাথে আরো একজন পুরুষ ও দু’জন মেয়েও যাবে তুমি ওঁদের সাথে চলে যাবে। আমি সরল মনে ওঁদের সাথে বাই রোডে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে বৈধভাবে প্রবেশ করি এবং কয়েকদিন অবস্থান করি তারপর ওখান থেকে ওঁদের সাথে চেন্নাই এয়ারপোর্টে শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার আমাদের জিজ্ঞাসা বাদ করে তখন আমার সাথে থাকা অপর পুরুষ মাসুদ মাদবর যে ছিলো শামসুল হক হাওলাদারের মানব পাচারের সহযোগী এগিয়ে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বার্তা বলে এক পর্যায় পুলিশের সন্দেহ বারতে থাকলে মাসুদ মাদবর আমাকে শিখিয়ে দেয় বলবি আমরা বিবাহিত স্বামী স্ত্রী ঘুরতে যাচ্ছি আমাদের কাছে বিবাহের রেজিস্ট্রার পেপার আছে, তার শিখানো কথা অনুযায়ী কথা বলি তারপর ইন্ডিয়ান পুলিশ যাচাই বাছাই করে আমাকে জানায় এই দু’জন রোহিঙা মেয়ে এবং আমার পাসপোর্টে স্টিকার জাল ভিসা লাগানো তখন আমার বুঝতে বাকি থাকেনি আমি দালালের খপ্পরে পরেছি। সেই থেকে শুরু করে আমি টানা তিন বছর জেলখেটে এখন জামিনে কোলকাতার পুলিশ হেফাজতে ক্যাম্পে আছি আর মাসুদ মাদবর এখনো জেল খাটছে। তার কথার সত্যতা যাচাই করার জন্য তার বাবা মোবারক মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাদের জানায় শামসুল হক হাওলাদার একটা বাটপার নারী পাচারকারী আমার ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠাবো বলে পাসপোর্ট দিয়েছিলাম শামসুল হক হাওলাদার রহিঙা মেয়ের স্বামী সাজিয়ে রহিঙা নারী পাচার করতে চেয়েছিলো মালয়েশিয়া সেই মামলায় আমার ছেলে চার বছর যাবত ভারতে আটকে আছে আমি তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করবো, তাঁদের কথার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদের প্রতিনিধি আরো অনুসন্ধান চালায় এবং সর্ব শেষ সেই মামলার কপি আমাদের হাতে আসে মামলার বিবরনে দেখা যায় শামসুল হক হাওলাদার হচ্ছে বাংলাদেশের মালয়েশিয়া পাঠানোর একটা মাধ্যম বা দালাল মাত্র তার কোন বৈধ ট্রাভেলস লাইসেন্স নেই সে অবৈধ ভাবে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বেশির ভাগ রহিঙা নারী ও পুরুষ কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো এবং নারীদের কে মালয়েশিয়া পাচার করে দিতো। এই রকম ভাবে কয়েক শত নারী সে পাচার করেছে এখনো করছে বলে অনুসন্ধানে জানতে পারি।এবং আমরা আরো জানতে পারি এই ঘটনার আগেও একজন রহিঙা নারী বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে কোলকাতা এয়ারপোর্টে আটক হয় এবং সে ও জানায় শামসুল হক হাওলাদারের মাধ্যমে সে পাসপোর্ট ভিসা সংগ্রহ করেছে এবং মালয়েশিয়া যাবার উদ্দেশ্য ইন্ডিয়া গিয়েছিল তার নাম সেলি আকতার BD-PPT, No BY 0222438 পরে শামসুল হক হাওলাদার কে মুল আসামী করে কোলকাতা ইমিগ্রেশন পুলিশ মামলা করে। মামুন মিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চেন্নাই ইমিগ্রেশন পুলিশের দেওয়া মামলার নথি ঘেটে আমরা জানতে পারি শামসুল হক হাওলাদার কে বাংলাদেশের মুল এজেন্ট করে মাসুদ মাদবর ও কে আসমী করে দুই অপ্রাপ্ত বয়স্ক রহিঙা নারী পাচারের দায়ে অভিযুক্ত করে এবং মামুন মিয়া কে অবৈধ ভিসার জন্য আসামী করে মামলা করে। মামলার বিবরণে আরো জানা যায় ওই পাচারকৃত রহিঙা নারীদের নাম ও ঠিকানা, ১/জেসমিন আক্তার কাজল(১৭) যাঁর প্রকৃত ঠিকানা উখিয়া রহিঙা ক্যাম্প কক্সবাজার! যাঁর কাছে ছিলো বাংলাদেশী পাসপোর্ট তার নাম্বার হলো-BD PPT NO, -EA0031407 অপর রহিঙা নারীর নাম তানিশা আক্তার(১৭) যাঁর প্রকৃত ঠিকানা বালুখালী রহিঙা ক্যাম্প কক্সবাজার যাঁর বাংলাদেশী পাসপোর্ট নাম্বার হচ্ছে BD-PPT,NO-BT0083672 মামলার বিবরণ অনুযায়ী আসামীদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনালকোড S2- Airport-PS CR No – 79/2019 U/S 419 420 465 468 471 370,IPS ধারায় এবং -25/07/2019-09.00 Hrs তারিখে মামলা চুরান্ত করা হয়। এবং শামসুল হক হাওলাদারের অস্থায়ী ঠিকানা শান্তিধারা ভুইঘর ফতুল্লা R/O RS 26 দেখানো হয় এবং স্থায়ী ঠিকানা বিলাশপুর- মুলাই বেপারীর কান্দি-বুধাইরহাট- জাজিরা শরীয়তপুর-CT- 01718117037 দেখানো হয়। সর্ব শেষ আমরা জানতে পারি ওই রহিঙা নারীদের কে ইন্ডিয়ান পুলিশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।।