চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানাধীন রায়পুর ইউপির খোর্দ গহিরার ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকার হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস(২৪) নামের এক যুবককে বিষপান করিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এক মহিলা সহ ২ জনকে আটক করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
২১ সেপ্টেম্বর(বুধবার) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আনোয়ারা থানাধীন রায়পুর ইউপির খোর্দ গহিরার ৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকার যুবক কে বিষপান করিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।নিহত হাফেজ মুহাম্মদ ইলিয়াস বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সেনায়েত আলীর (সেইন্নার বর)বাড়ির মৃত্যু আবুল কালামের পুত্র।
নিহতের চাচা মাওলানা আমির হোসেন,আবু তৈয়ব,মাওলানা হাবিবুর রহমান জানান,ইলিয়াস চট্টগ্রামের জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার কামিল শ্রেণীর ২য় বর্ষের ছাত্র এবং চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ইসলামীক স্ট্যাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী,সে গহিরা গ্রামের খোর্দ গহিরা এলাকায় একটি মসজিদে চাকরি করত,সেখান থেকে সে বিগত কয়েকমাস পূর্বে চাকরি ছেড়ে দেন।
সেখানকার স্থানীয় আহমেদ সওদাগরের মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে ,তাও বিগত ২/৩ বছর আগে।অনেক আগেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেলেও আহমেদ সওদাগরের পরিবারের লোকজন ইলিয়াসের সাথে শত্রুতামি করার কারণে বিগত কয়েক মাস পূর্বে সে সেখান থেকে চাকরিও ছেড়ে দিয়েছে।
কিন্তু চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর থেকে আহমেদ সওদাগরের পরিবারের লোকজন ইলিয়াসের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করতে থাকে,তাঁর সাথে পূনরায় বন্ধুত্বের লৌকিকতা দেখিয়ে তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে বলে নিহত ইলিয়াসের স্বজনরা দাবী করছে।
তারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আটক জান্নাতুল মাওয়া রীফা ও তার ভাই খোরশেদ এর ফাঁসির দাবী করেন,ঘটনার জড়িত অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্যে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান নিহতের স্বজনরা।
এব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর্জা মুহাম্মদ হাসান প্রতিবেদককে জানান, আনোয়ারার গহিরা গ্রামের খোর্দ গহিরা এলাকায় বাঁশখালীর ইলিয়াস নামের এক যুবককে বিষপান করিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পেয়েছি,নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ওই এলাকার আহমেদ সওদাগরের ছেলে খোর্শেদ(৩০) ও মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া রীফা(১৯)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করেছে বলে জানান ওসি মীর্জা মুহাম্মদ হাসান।
এসময় তিনি আরো বলেন, নিহত ইলিয়াসের সাথে আটক জান্নাতুল মাওয়া রীফার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি, সেই সুবাদে ইলিয়াস ঘটনার রাতে রীফাদের বাড়িতে গেছে,কিন্তু রীফার ভাইয়েরা তাকে ঘরে ঢুকতে বাঁধা দেয়,যার কারণে সে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে আটকদের পরিবারের দাবি,তবে ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন থেকে জানতে পেরেছি যে রীফার ঘর থেকে ইলিয়াস দৌঁড়ে বের হয়ে এসে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সামনে বলছে রীফার ভাইয়েরা তাঁকে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে দিয়েছে।এমন অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন বলেও জানান ওসি মীর্জা মুহাম্মদ হাসান।