নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংস্কারের পথ ধরে নির্বাচনি রোডম্যাপে যাবে বাংলাদেশ-এ রকম প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তারেক রহমান বলেছেন, আমি বলতে চাই, ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধু রাষ্ট্রের ক্ষমতার হাতবদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণের গুণগত পরিবর্তন জরুরি।
মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের প্রধান অতিথি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাবিবুন্নবী সোহেল, মির্জা আব্বাস উদ্দিন, লায়ন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মোঃহানিফ মুন্সি , বরকত, ওয়ারেছ আহমেদ ভূঁইয়া তাপস, মনির হোসেন, শরীফ হোসেন সুমন সহ আরো অনেক বিএনপি নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন ।
রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠা সংস্কায় হিসেবে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান টার্গেট হওয়া জরুরি হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই সরকারের ব্যর্থতা হবে আমাদের
সবার ব্যর্থতা। বাংলাদেশের পক্ষের গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, কোনো প্রলোভন কিংবা কোনো উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজের নেতৃত্বদানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।
গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করতে এবং গণতন্ত্রে উৎসাহিত করতে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করে আসছে।