শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
বানিয়াচংয়ে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন ক্যাম্পিং উদ্বোধন পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অবরুদ্ধ রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি আবারও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতা এস.এম. বাবু মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মামলা ও জিডি করতে আর থানায় যেতে হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাঁচালং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে লাঞ্ছনা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নির্বাহী সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বাবু

আপনার ছেলে মেয়েরা স্কুলের নাম করে কোথায় যাচ্ছে খবর রাখুন।

আলমগীর হোসেন সাগর 
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩০৪ বার পঠিত

বর্তমানে আমাদের দেশে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা প্রেমের আড়ালে যে সব অপকর্ম করতেছে তা পশ্চিমাদেরও হার মানাবে ঠিক এমনি। এখানে শুধু ছেলে/মেয়েদের দোশ দিলেই হবে না দোশটা আমাদের অভিভাবকদের ও আছে। আপনার ছেলে-মেয়ে কোথায় যায়? কি করে ? কার সাথে মিশে ? ক্লাসের কথা বলে কি ক্লাসে যায় নাকি বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ? যখনই কোনো ছেলেমেয়ে খারাপ কিছু করে,তখন বাবা মা বলেন আমার ছেলে মেয়ে এমন করতেই পারে না। তাহলে খারাপ কাজ গুলো কাদের ছেলে মেয়ে করে ? স্কুলের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের যখন দেখি সিগারেট টানছে তখন আমার ইচ্ছা করে কষিয়ে এক থাপ্পড় দেই । স্কুল কলেজের ইউনিফর্ম পরা মেয়ে গুলোকে যখন দেখি ফাস্ট ফুডের দোকানে বখাটেদের সাথে আডডা দিচ্ছে তখন ইচ্ছা করে তাদের বাপ মা কে এনে দেখাই দেখেন কি করছে আপনার ছেলে মেয়ে গুলো ছেলে-মেয়ের এমন খবর অনেক মা-বাবাই রাখেন না, ভাবেন ‘আমার ছেলে-মেয়ে কখনও খারাপ কিছু করবে না। নো নেভার। ছেলে বা মেয়েটা বড় হয়েছে, সে তার মত চলুক। ভালো মন্দ তো সে বুঝে । কিন্তু সে তার মত চলতে গিয়ে কখনো কখনো খারাপ মানুষের সাথে চলা শুরু করে, একসময় তাদের দলেই যোগ দেয়। ছেলে মেয়ে গুলো আসলে বাবা মার জন্যই খারাপ হয়। তারা যদি ছেলে মেয়েদের উপর কঠিন নজরদারি রাখে তাহলে তারা বিপথে যেতে পারবে না। বাবা মার উচিত প্রতিটা সময়ের খোজ খবর রাখা। যদি খোজ খবর না-ই রাখতে পারেন তাহলে কেন জন্ম দিলেন? স্কুল-কলেজের সময় গুলোতে পার্কে, লেকে এবং বড় বড় শপিং মলের ফাস্টফুডের দোকান গুলোতে গেলেই দেখতে পাবেন- ছেলে-মেয়েরা কিভাবে বসে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই ছেলে-মেয়ে গুলো কাদের? তাদের বাবা-মা কারা? সারারাত জেগে তারা ফোনে কথা বলে, ভিডিও চ্যাট করে। আর তাদের শেষ পরিণতি হলো- বন্ধুর ফ্ল্যাট বা কোনো হোটেলে। তারপর সম্পর্কের ছেদ। কারো কারো সাহস এত বেশি তারা তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি গুলো ভিডিও করে রাখে। শেষে এই ভিডিও তার জীবনের কালহয়ে দাঁড়ায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে একসময় কোনো কিছুকেই পরোয়া করে না তারা। রাস্তায় কোনো মেয়ে দেখলেই তাদের পথ আগলে বা পিছু নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। মেয়েদের স্কুল বা কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কোনো মেলা বা শপিং মলে গিয়ে সুযোগ পেলেই মেয়েদের গায়ে হাত দিচ্ছে। প্রেম ভালোবাসা নাম দিয়ে- বন্ধুর ফ্লাট অথবা কোনো নির্জন স্থানে গিয়ে… । দিনদিন এই নোংরা মানসিকতা বেড়ে আজ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সহজ সরল পবিত্র সম্পর্ক আজকাল আর দেখা যায় না। ছেলে-মেয়ের এমন দৃশ্য অনেক মা বাবার চোখেই পড়ে না। তারা ভাবেন ছেলে/মেয়ে তো মন দিয়ে লেখা করছে , নিয়মিত ক্লাসে যায়, প্রাইভেট পড়তে যায়। সহজ সরল সত্য কথা হলো- বেশির ভাগ বাবা-মা’ই নিজের ছেলে-মেয়ের ভুল গুলো চোখে দেখেন না। কাজেই ছেলে মেয়ের দিকে খুব বেশি নজর দেন। পরে হায় হায় করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের পাশের বাসায় এক মেয়েকে দেখলাম এক ছেলের সাথে রিকশায় করে যাচ্ছে। তাদের বসার ভঙ্গির মধ্যে কোনো শালীনতা পেলাম না। ছেলেটার আচরন অশালীন লাগলো। একদিন এই ছেলে মেয়েটাকে দেখি ছাদে ওই ছেলেটার কোলে বসে আছে। ঘটনাটা মেয়ের বাবা মাকে জানালাম। তারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলো। যেসকল মা বাবারা বলে থাকেন যে, আমার ছেলে এমন না, সে কেন মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে? সেই সব বাবা-মাদের বলতে চাই, সে যদি আপনার ছেলে না হয় তাহলে কার ছেলে? আপনাদের মতই অন্য কোনো বাবা মায়ের সন্তান, কোনো বোনের আদরের ভাই। আমার এক বন্ধু প্রায়ই আক্ষেপ করে বলেন, এযুগে কোনো ভার্জিন ছেলে মেয়ে নাই। যারা নিজেকে ভার্জিন বলে দাবী করবে আগে তাদের ঠাটিয়ে দুই চড় মারবেন। সব বাবা-মার একটাই চাওয়া তার ছেলে-মেয়ে যেন মানুষ হয়। প্রতিটা বাবা-মাকে বলতে চাই- যদি সত্যিই চান, আপনার ছেলে-মেয়ে মানুষ হোক- তাহলে তাদের প্রতিটা মুহূর্তের খবর রাখুন। বাবা-মার একটু সজাগ দৃষ্টি সমাজের অনেক অপরাধ কমিয়ে দিতে পারে। শুধু মানুষের চেহারা নিয়ে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না, মনে রাখবেন, অমানুষরাও দেখতে ঠিক মানুষের মতোই। পরিবার থেকে যদি সন্তানদের খবর রাখা না হয় তাহলে সন্তান তো খারাপ পথেই যাবে। মনে রাখবেন, আপনার ছেলে বা মেয়েও হতে পারে ভয়ংকর অপরাধীদের একজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991