আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে সভাপতির সাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগকৃত কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মধ্যচন্দ্রা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মাতুব্বর।
মামলার আসামীরা যথাক্রমে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সুলতান বিশ্বাস (৫০) এবং নিয়োগকৃত শিক্ষক মোঃ শাহিন মিয়া (৩৮)। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৩) এর বিচারক মোঃ নাহিদ হোসেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়াই শুধু নয়, তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড জালিয়াতি করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ রয়েছে একই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগও।
সার্বিক অভিযোগ ও মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুলতান বিশ্বাস জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। সরকারি বিধি মেনেই তিনি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহীন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি যাবতীয় যোগাযোগ প্রধান শিক্ষকের সাথে করার জন্য বলেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোঃ মাহবুব আলম বলেন, প্রধান শিক্ষকের সাক্ষর জালিয়াতির ঘটনাটি সত্য মর্মে বিজ্ঞ বিচারককে বোঝাতে সমর্থ হওয়ায় তিনি মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের জন্য। আশা করছি পিবিআই টিমের তদন্তেও ঘটনাটির সত্যতা প্রমাণিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দোষী হিসেবে সাব্যস্ত হবেন।