নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমিনবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন আহত হন।আহতদের মধ্যে মো: মহসিন আলী (বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত) SICIP প্রোগ্রামের একজন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত আছেন এবং তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ইউসেপ স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা এবং ছোট মেয়ে রায়দা সাথে ছিলেন ঘটনা সূত্রে জানা যায় আমিনবাজার ভাঙ্গা ব্রিজ থানা সাভার এলাকায় বিকাল ৫ঃ৩০ মিনিটে আমিনবাজারের ব্রিজ পার করার সময় পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক তাদের বাইক টি কে ধাক্কা মারে যার কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি টি ছিটকে পড়ে বেশখানিকটা দূরত্বে এবং তারা তিনজন মারাত্মকভাবে আহত হন। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে চলে আসে ততক্ষণে ট্রাক চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় আহত পরিবারদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য দ্রুত জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক জানান, এক্সিডেন্টটির কারণে মহসিন আলী ও তার মেয়ের বাম পা ভেঙে গেছে এবং তার স্ত্রী শিরিনা আক্তার গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। আহত মহসিন আলী জানান, আমি ও আমার পরিবার ১.০৫.২০২৫ ইং তারিখে বিকাল ৫.৩০ ঘটিকায় আমিনবাজার ভাঙ্গা ব্রিজ রোড দিয়ে এক আত্মীয়র বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই ওই সময় একটি ট্রাক (যার লাইসেন্স নাম্বার ( ঢাকামেট্রো :ট:২২.০৪.৩৬)
পিছন থেকে আমাদের বাইকটিকে ধাক্কা মারে এবং এই দুর্ঘটনাটি ঘটে কিন্তু ঘটনা স্থলে কোন ট্রাফিক সার্জেন্ট আসেনি । আহত পরিবার অভিযুক্ত ট্রাক চালককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান। আমাদের দেশে প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনভাবেই এর প্রতিকার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। সড়ক দুর্ঘটনার পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন না মানা। রাস্তা পারাপারে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে, লাইসেন্স ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি বিষয় আইন মানতে বাধ্য সাধারণ মানুষ। দুর্ঘটনার জন্য রাস্তা ঘাটে বিশেষ করে হাইওয়েতে অপরিকল্পিত যানবাহনের চলাচল বিশেষ ভাবে দায়ী। নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলগামন, আলমসাধু, মোটর ব্যবহৃত অবৈধ ভ্যান রিকশা এবং মোটরসাইকেলের অপরিকল্পিত ব্যবহার সড়ক দুর্ঘটনা বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। তবে সভ্যতা ও আইন মানা না মানার মাত্রায় দেশ ভেদে দুর্ঘটনার হার কম বা বেশি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ ব্যক্তির প্রাণহানি হচ্ছে। আর বাংলাদেশ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষণা বলছে, দেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ হাজার মানুষ নিহত ও ৩৫ হাজার আহত হন
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আইনের প্রয়োগ জরুরি
ট্রাফিক আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও আইনরক্ষকদের ঢিলেঢালা ভাব ও দুর্নীতির কারণে গাড়িচালকদের মধ্যে আইন ভাঙার প্রবণতা বাড়ছে। জাতীয় সড়কেও দেখা যায়, সব নিয়ম ভেঙে চালকরা উল্টো দিকে গাড়ি চালাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। সে কাজটি করার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িচালকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পথচারীদেরও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, বিশেষ করে ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে। ট্রাফিক আইন মানার ক্ষেত্রে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। যদি এর অন্যথা হয়, তাহলে তাদেরকে নিয়ম মানতে বাধ্য করানোর দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। সেক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তিই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, শুধু নীতিবাক্য-সচেতনতাই নয়, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আইনের প্রয়োগও এখন জরুরি।