জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরে ইসলামপুর উপজেলায় গঙ্গাপাড়া সদর সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুটে উঠেছে মাঠগুলো। আর সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে অধিক লাভের আশায় হাসছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার চাষিরা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। বর্তমানে সূর্যমুখীর অধিকাংশ গাছেই ফুল ফুটেছে। এদিকে সূর্যমুখী ফুলের জমিতে এসে বিনোদনও উপভোগ করেছেন অনেকই।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এল.এম রেজওয়ান আহমেদ বলেন , চলতি মৌসুমে উপজেলার সদরের গঙ্গাপাড়া আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন প্রায় ৯০শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ প্রণোদনা দিয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় ধানসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন কৃষকরা।
সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। চার কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে এক লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ মণ থেকে ১৬ মণ বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে।
তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৫০ লিটার থেকে ২০০ লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের বাজার সর্বনিম্ন মূল্য ২৫০ টাকা। সূর্যমুখী ফুল চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্য তেলের আকাশ ছোঁয়া দাম হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের।
আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন বলেন, দূরদূরান্ত থেকে লোক এসে আমার সূর্যমুখী বাগান দেখে যাচ্ছে, আমি যদি সূর্যমুখী তেলের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে, আগামী বছর সম্পূর্ণ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান চাষ করিব, এবং আগামী বছরে যেন দূরদূরান্ত মানুষ এসে বিনোদন করতে পারে সূর্যমুখী ফুলের বাগান।