মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
রামেক হাসপাতালে রোগীর সেবা নয়, বরং তালাবদ্ধ রুমে অজুহাতের রাজত্ব! ভিসা প্রতারক চক্রের মূল হোতা সহ চার জন গ্রেফতার গাজীপুরের শ্রীপুরে সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী গোপালপুরে কাব কার্ণিভাল ২০২৫ উদযাপন টেস্ট ক্রিকেট এ ২৫ বছরে পদার্পন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় অ-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল অনুষ্ঠান লালপুরে বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ বিএনপি কখনোই মবকে প্রশ্রয় দেয় না : আমিনুল হক দুর্গাপুর শ্রীধরপুরে ৮টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু ১, আহত ২

উচ্চ আদালতের রায়ে সত্যের  জয় নিশ্চিত হয়েছে চাঁদপুরের সাবেক ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
  • ২৩৭ বার পঠিত

এস এম আনিছুর রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের সুযোগে বাড়তি প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোপাট চেষ্টা ভেস্তে গেছে বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের। সরকারি অর্থ রক্ষায় চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের তদন্ত প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে সেলিম খান রিট করেন হাইকোর্টে। প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি করে দায়েরকৃত এ রিটের মাধ্যমে আদালতের সময় নষ্ট করায় উল্টো সেলিম খান ও তার দু’ সহযোগীকে এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তাদের দুই মাসের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

উচ্চ আদালতের এ রায়কে সত্যের বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বসিত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক ও নেত্রকোনার বর্তমান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের জয় নিশ্চিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের কেবিনেট সচিব, মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে সকল সিনিয়র স্যারগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি চাঁদপুরের আপামর জনসাধারণের প্রতি। কারণ তারা শুরু থেকেই আমার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন এবং আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন, আমার পাশে ছিলেন। তাদের পাশে পেয়ে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে আমার সুবিধা হয়েছে। অবশেষে রাষ্ট্রপক্ষ জয়ী হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এটর্নি জেনারেল স্যার এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

চাঁদপুরের স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের যেই সাংবাদিক বন্ধুরা এই ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন তাদের প্রতিও অনেক কৃতজ্ঞতা। কারণ তারা এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনাপাড়ের একটি এলাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম খান তার ছেলেমেয়েসহ অন্যান্য জমির মালিকরা অস্বাভাবিক মূল্যে দলিল তৈরি করেন। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা।

জমির অস্বাভাবিক মূল্য দেখে সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বিষয়টি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসে সরকারের কয়েকশ’ কোটি টাকা লোপাট পরিকল্পনার তথ্য।

 

ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, ওই মৌজায় জমির মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের সমন্বয়ে ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই করে দেখা যায়, অধিগ্রহণ প্রস্তাবিত ও পূর্বে অধিগ্রহণকৃত দাগগুলোর জমির হস্তান্তর মূল্য অস্বাভাবিক। এছাড়া এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ায় জনস্বার্থ ও সরকারি অর্থ সাশ্রয়ে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে সৃজন করা দলিল ছাড়া ১১৫ নম্বর লক্ষ্মীপুর মৌজার অন্যান্য সাফকবলা দলিল বিবেচনায় নিয়ে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা অধিগ্রহণের প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়। উচ্চমূল্যের সেই দলিলগুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রাক্কলন তৈরি করলে সরকারের ৩৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা ক্ষতি হতো। এছাড়া মৌজা মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ ভূমি হস্তান্তরসহ নানা বিষয়ে সমস্যায় পড়তো।

বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের পক্ষে অবস্থান নেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ একটি অংশ। এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানিয়েছিলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রাক্কলন দিয়েছি। মন্ত্রণালয়কে বলেছি, সব দলিল ধরে মূল্য নির্ধারণ করলে দাম হতো ৫৫৩ কোটি টাকা। আর যে দলিলগুলো উচ্চমূল্যের সেগুলো বাদ দিয়ে প্রাক্কলন করলে দাম আসে ১৯৩ কোটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991