নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতিনিয়ত সরকারি খাস জমি থেকে ও জেগে উঠা নতুন চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।এমন অনিয়ম চলছে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায়।আনুমানিক তিন মাস সরকারি খাস জমি ও জেগে উঠা নতুন চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে সকাল ১১টায় শেষ হয় এই মাটি কাটার কাজ।সন্দ্বীপের পূর্ব দিকে কাটিয়া পাড় ঘাট ও গুপ্তছরা ঘাটের মাঝামাঝি জায়গায় সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে একদল।অন্যদিকে পশ্চিমে জেগে উঠা নতুন চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে আরেকদল।
আর এমন কাজ শুরু হয় ভোর পাঁচটা থেকেই।সরেজমিনে গিয়ে ভোর পাঁচটায় দেখা মিলে কাচিয়া পাড় ও গুপ্তছরা ঘাটের মাঝামাঝি জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে।সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যায় ৪/৫জন।কিন্তু ট্রাক ড্রাইভার ও ২/৩ জন মাটি কাটার লোক পালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়।মাটি কাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাক ড্রাইভার জানাই এগুলো আজাদ মার্কেটের এক সওদাগর কাটাচ্ছে।কিন্তু নাম জানা যায়নি সেই সওদাগরের।
অন্যদিকে পশ্চিমে জেগে উঠা চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।সরেজমিনে মাটি কাটা অবস্থায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন আমরা মাটি কাটি সুমন ও সিহাব ভাইয়ের জন্য।পশ্চিম দিক থেকে মাটি কাটার তালিকায় আরো কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।বর্তমানে আর প্রমাণ সংগ্রহের জন্য আমাদের প্রতিনিধি কাজ করে যাচ্ছে।
মাটি কাটা বিষয়ে সুমনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান মাছ ঘাট আমাদের আর আমাদের ঘাটের জন্য মাটি কেটেছি।এখন আর কাটি না।আমাদের ঘাটে অল্প মাটির দরকার ছিলো তাই মাটি কেটেছি কিন্তু বিক্রি করার জন্য এটা ঠিক না।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে সন্দ্বীপের চারপাশে খাস জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে কিন্তু রাতের অন্ধকারে কাটা হচ্ছে বলেই এখন পর্যন্ত অনেকের নাম অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে।আশাকরি এর পরের প্রতিবেদনে সবার নাম উঠে আসবে।আর এই বিষয়ে পঠশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়।
Leave a Reply