স্টাফ রিপোর্টার মোঃ লিয়ন: ১৩ ডিসেম্বর উল্লাপাড়া মুক্ত দিবস। ‘৭১ এর এই দিনে উল্লাপাড়া-বাসী স্বাধীনভাবে শ্বাস নিয়েছিলেন। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার পর থেকে মূলত: পাক বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হতে থাকে।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১১ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নওগাঁর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাক বাহিনীর পরাজয়ের পর তদানীন্তন উল্লাপাড়া থানা সদরে অবস্থিত সে সময়ের হামিদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাক বাহিনীর ক্যাম্পের সেনারা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়।
গোপন খবরের ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের পরিচালক আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা হামিদা স্কুলে পাক বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণের জন্য থানা সদরের দিকে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নেয়।
এদিন মধ্য রাতে পাক সেনারা তাদের উল্লাপাড়া ক্যাম্পের অস্ত্র গুদামে ও পাশে আব্দুর রহমানের পাট গুদামে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নগরবাড়ী-বগুড়া মহাসড়ক পথে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায়। পরদিন ১৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় উল্লাপাড়া। এদিন উল্লাপাড়া থানায় মুক্তিপাগল উল্লসিত জনতার মাঝে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম। বের করা হয় আনন্দ মিছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, উল্লাপাড়া মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পৌর শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।