নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করে সমগ্র বাঙ্গালি জাতি।
-ত্যাগের ভাষা মায়ের ভাষা!
এই মায়ের ভাষাকে অর্জন করতে গিয়ে কতশত তরুণের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ.
কত স্বপ্ন দেখা জননীর কোল হয়েছে শূন্য.বাংলা ভাষার জন্য রক্ত ও প্রাণদানের
লোমহর্ষক ঘটনা ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে.
ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার এমন নজির বিশ্বের ইতিহাসে আর নেই। তাই মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য.ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করে
সমগ্র বাঙ্গালি জাতি.
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরে বাংলা ভাষার উপরে নেমে আসে উর্দুর অপচ্ছায়া। সে সময় বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা করার দাবিতে ১৪ জন ভাষাবীর সর্বপ্রথম ভাষা-আন্দোলন সহ অন্যান্য দাবি সংবলিত ২১ দফা দাবি নিয়ে একটি ইস্তেহার প্রণয়ন করেন.১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয়।
এবং প্রতিটি ভাষা প্রেমিকের হৃদয়ে ক্রোধের অনল সৃষ্টি হয়।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এর চরম প্রকাশ ঘটে।
এইদিনে বাংলাকে’রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসেন.রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই বাংলা চাই মিছিলের স্লোগানে কম্পিত হয় রাজপথ.
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারণে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক জানা অজানা তরুণ ছাত্র শহীদ হন। যাঁদের মধ্যে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত উল্লেখযোগ্য এবং এই কারণে এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।
-শুন বাঙ্গালি তরুণ ভাই
-ওরা মোদের মায়ের ভাষা
-কেড়ে নিতে চায়
-যে ভাষাতে আছে মায়া
-মা ডাকেতে মধু-
-সেই ভাষাকে বিনাশ করতে
-দিব নাকো কভু
-কোথায় আছো ছাত্র সমাজ,
-কিশোর যুবা মিলে-
-ভাষা রক্ষা করব চলো
-রাজপথে আজ গিয়ে
-১৯৫২ সালের,২১শে ফেব্রুয়ারী
-লক্ষ যুবা সঙ্গে নারী
-মিছিল সারি সারি-
-বাংলা মোদের মায়ের ভাষা,
-বাংলা মোদের প্রাণ-
-বাংলা রক্ষা করতে গিয়ে
-বিলিয়ে দিব জান-
-শত্রু সবে ওত পেতে আজ
-শক্তি অস্ত্র বলে-
-ছুঁড়ল গুলি মারল বোমা
-মিছিল লক্ষ্য করে-
-ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গা ভূমি
-ভিজলো পথের ধুলি-
-শহীদ ওরা তাদের ত্যাগে
-পেলাম ভাষার বুলি.