মো: ইলিয়াস শেখ বিশেষ প্রতিনিধি:পটুয়াখালী কুয়াকাটার আলিপুর মহিপুরের বড় ফিশিং ট্রলারে লাখ লাখ টাকার জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে মৎস্য আড়ৎদে হাসিমুখে ফিরলও, তবে মলিন মুখে কিনারায় ফিরছেন কুয়াকাটার ক্ষুদ্র জেলেরা।
সরজমিন ঘুরে শুক্রবার শনিবার লক্ষ্য করা যায়,কুয়াকাটা ক্ষুদ্র জেলেরা খালি হাতে কিনারায় ফিরছেন, এবং এই জেলেদের লাভের আশা তো দূরের কথা, প্রতিদিনের খরচও উঠছে না,দিন দিন ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে তাদের।বর্তমানে তারা খুব কষ্টের দিন পারকরছে, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এই দিকে শুক্রবার আলিপুর, মহিপুরে মনকে মন ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসছেন জেলেরা,দেখলে মনে হয় এক সাগরে দুই নিয়ম,বাংলা প্রবাদে লোক জন বলছে, কারো জন্য পৌষ মাস আবার কারো জন্য সর্বনাশ।
সবকিছু ছাপিয়ে, যখন এক কেজি ডিজেল কিনতে হয় ১৩৫ টাকায়, অর্থাৎ বর্তমান দ্রব্যমূল্যের দাম ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়েছে এই অঞ্চলের জেলেরা।
কুয়াকাটার ক্ষুদ্র জেলে হারুন মাঝি জানান, প্রতিদিন সাগরে যাবার জন্য পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ৭ হাজার টাকা তো দূরের কথা ৭শো টাকাও ইনকাম করতে পারছি না। ৬৫ দিন অবরোধের পর থেকেই আমাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে। এখন আমি মনে করি কুয়াকাটার ক্ষুদ্র জেলেদের জন্য সারা বছরই অবরোধ থাকা ভালো।
এদিকে মহিপুরের বড় ফিশিং ট্রলারের মাঝি মোঃ জামাল বাঝি বলেন,আজ ১০ লক্ষ টাকার রূপালী ইলিশ নিয়ে কিনারায় এসেছি, খুব আনন্দ লাগছে কারণ অনেকদিন পরে মাছ পেয়েছি, ইতিমধ্যেই মাছ বিক্রি হয়েছে। একদিকে মাছ বিক্রি হচ্ছে, অন্যদিকে আবারও মাছ ধরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাজার সদায় করছি। আমরা আশা করছি এই মাছ দীর্ঘদিন সাগরে থাকবে ঋণ পরিশোধ করে লাভের আশা করছেন তারা।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা, সাংবাদিকদের বলেন, সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ রয়েছে, তবে সেটা গভীর পানিতে কিনারায় আসতে কিছুদিন সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই আমরা সুফল পেতে শুরু করেছি, বড় বড় ফিশিং ট্রলার তারা হাসিমুখে কিনারায় ফিরছেন ৬৫ দিন অবরোধ দেয়ার কারণে এবার মাছগুলো বড় সাইজের রয়েছে। তিনি আরো বলেন এই মাছ যাতে ভালো দামে বিক্রি করতে পারে জেলেরা, সেই চেষ্টা আমরা করছি।