সুমন খান রিপোর্টীরঃ এন এসআই এর ভয় দেখিয়ে উলুদাহ বাদালদি , উত্তরা ও এলাকায় আতঙ্ক ভূমিদস্যু নাজমুলের বিরুদ্ধে সংবাদের যে ধরে , সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি! সাংবাদিক পেশা নিয়ে কূটনীতি করার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট থানার অভিযোগ এবং এমএসআই এর মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করিলে , অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হুমকিদাতা এবং নাজমুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
এর প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন।
জাতীয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ ও দৈনিক জনজাগরণ এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে।
এনএসআই এর ভয় দেখিয়ে উলুদাহ, বাদালদি, উত্তরা এলাকার আতঙ্ক ভূমিদস্যু নাজমুলের হুংকার, আমার পিছনে লাগলে ভিটায় ঘুঘু চড়াবো।
এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স) বাংলাদেশের প্রধান বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। এনএসআই এর সদর দপ্তর ঢাকার সেগুনবাগিচায়। এনএসআই হল বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এবং বিদেশী গোয়েন্দাদের ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় সংস্থা। এখানে যারা চাকুরী করে তারা অত্যন্ত সৎ এবং বিচক্ষণ হয়ে থাকে। খুব একটা তাদের অপরাধের খবর কিংবা তাদের কোন ভুল খুব একটা তাদের গন্ডি পেরিয়ে জনসাধারণের কাছে আসে না। এই সংস্থায় যারা চাকুরী করে তাদেরকে সবাই সম্মানিত বলেই জানে। কিন্তু এনএসআই সদস্য মোঃ নাজমুল করিম এনএসআইতে কর্তব্যের নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে এমন কিছু কাজ করেছে, যা সম্পূর্ণ একটি এলাকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ যেন আলেমের ঘরে জন্ম হওয়া কোন এক জালেমের বিষয় উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে এই এনএসআই সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি বিভিন্ন লোক মারফত গণমাধ্যম অফিসকে জানায়, কয়েকদিনের মধ্যেই আপনাদের সম্পাদক এবং রিপোর্টারকে এনএসআই অফিসে ডাকা হবে। আমার পিছনে লাগলে ভিটায় ঘুঘু চড়াবো ইত্যাদি বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। ইতিমধ্যে এনএসআই সদস্য মোঃ নাজমুল করিম এর বিরুদ্ধে রাজধানী তুরাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আবার তার কৃতকর্মের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করে এনএসআই এর মহাপরিচালক বরাবর তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে।
কেন তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ?
উলুদাহ, বাদালদি, উত্তরা এলাকার এক বড় আতঙ্কের নাম এনএসআই মোঃ নাজমুল করিম, পিতার নাম-মোঃ আব্দুর রহমান সোনার, বসবাস করেন উলুদাহ, বাদালদী, ঢাকা। উনি এনএসআই তে চাকুরী করেন বলে সবাইকে ভয় দেখাবার স্টাইলে কথা বলেন এবং কথায় কথায় এনএসআই এর পাওয়ার সম্পর্কে গল্প করেন। উনাকে এলাকার বাসিন্দারা এনএসআই নাজমুল নামেই চিনেন। এলাকার বাসিন্দারা জানেন, উনি এনএসআই এর বড় অফিসার হিসেবে কাজ করেন। এই জন্য এলাকার বাসিন্দারা উনাকে ভয় পায়। উনি এনএসআইতে চাকুরির সুবাদে এলাকায় অন্যের জমি দখল, অন্যের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে কম দামে জমি বিক্রি করতে জমির মালিকদের বাধ্য করেন। জমির ব্যবসা করে, অন্যের জমি দখল করে কোটি কোটি টাকা বানিয়ে ফেলেছেন। এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এনএসআই নাজমুল একটি মস্তবড় আতংকের নাম। সরেজমিন পর্যবেক্ষণে জানা যায় তার অবৈধ সকল কর্ম, টাকা পয়সা লেনদেন হয়, তার সহযোগী সফিক এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের ব্যাংক এক- াউন্টের মাধ্যমে। জমি দখলে সহায়তা করেন স্থানীয় সাবেক মেম্বার এবং তার লালিত পালিত স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে। আরো জানা যায় তার লালিত পালিত নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীও রয়েছে এসব নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী ও স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দ্বারা তারা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সাধারণ মানুষের জমি দখল করে। এনএসআই নাজমুল যাদেরকে তার কাজে ব্যবহার করে আসছে, তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা সবাই জুলাই ২০২৪ ইং থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার বৈধ আন্দোলনকে হটাতে ফ্যাসিস্ট সরকারকে তাদের সর্বচ্চ শক্তি দিয়ে সহযোগিতা করেছে। রাতের আধারে জমি দখল যেন তার নিত্যদিনের কার্যক- লাপের একটি। বিগত সরকারের আমলে এনএসআই নাজমুল পরিচয়ে দখল হয়েছে জমির পর জমি, ভূমিহীন হয়েছে কয়েক’শ পরিবার। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রশাসন সব সময় এনএসআই নাজমুলকে সহযোগিতা করেছে, তার নিকট থেকে অবৈধ অর্থ পাওয়ার আশায়। যেকোন সমস্যা আসলে এনএসআই নামজুল টাকা দিয়ে হোক, লোকবল দিয়ে হোক প্রতিবাদির মুখ বন্ধ করেছে এবং এখনও করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি অফিসার হিসেবে চাকুরীরত অবস্থায় একজন ব্যক্তি কিভাবে এই সব করেন, এদের কাছে আমাদের মতো সাধারণ নাগরিক আর কতদিন জিম্মি থাকবে। এনএসআই নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি এলাকার সাধারণ নাগরিক হিসেবে জোর দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া একটি বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকা- লীন সরকার আসার পর প্রতিটি সেক্টরে যে পরিমান রদবদল হয়েছে, সেই তুলনায় এনএসআই তে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না।
আমি আপনাদের মাধ্যমে এনএসআই এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সম্মানের সাথে জানাতে চাই আপনারা দেশ রক্ষার এবং দেশের মানুষের সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় ভূমিকার জায়গায় রয়েছেন। দয়াকরে আপনাদের মাঝে যদি দুই একজন আওয়ামী সরকারের অপরাধের সমর্থনকারী হিসেবে চিহ্নিত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।
বেশকিছু ভুক্তভোগিদের ভিডিও সাক্ষাতকার এবং অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে আরো জানা যায় ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজী তারিখে GSPL নামক একটি স্বনামধন্য হাউজিং কোম্পানীর মালিকানাধীন ২৪.৩৪ কাঠা জমিতে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী সীমানা-প্রাচীর দিয়ে জমিটি দখল করে নেয় এবং তাদের কে অত্র জমির আশেপাশে না যাওয়ার জন্য নানান হুমকি দেয়া হয়।
তাছাড়া উক্ত কোম্পানী বিভিন্ন ভাবে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়।আরো জানা যায় এনএসআই নাজমুল করিম নিজের ক্যাডার বাহিনী ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে এলাকার স্থানীয় আরো বহু মানুষের জমি অবৈধভাবে দখল, অন্যের জমি ভরাট করে নিজের নামে দলিল করিয়ে নেয়া সহ একজন প্রতিষ্ঠিত ভূমিদস্যু হিসেবে যতটুকু সম্ভব তার চেয়েও বেশি পরিমানে করছে। এমতাবস্থায় তার কাছে এক প্রকার জিম্মিই বলা চলে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী আরো জানায় তারা বহুভাবে তার নামে প্রশাসনের কাছে তার বিচার দাবী করে এই ভূমিদস্যু এনএ- সআই অফিসার নাজমুল করিমের হাত থেকে তাদের নিস্তার চান। এ বিষয় নিয়ে এনএসআই নাজমুল করিম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আপনারা না জেনে কোন সংবাদ প্রকাশ করবেন না প্লিজ।
আমি জমি বায়না করেছি- লাম এখন জমির সাথে নাই, আপনারা না জেনে, না বুঝে সংবাদ প্রকাশ করেন টাকার জন্য, এমনকি টাকার জন্য আপনারা সাংবাদিকরা নিজের বউকেও অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন। আমার রাগ বেশি, এখন আমি ঘুমাবো।
এ বিষয় নিয়ে কথা হয় হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের পরিচালক জিয়াউল হকের সাথে, তিনি প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তারাই রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে নিজেদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করেছে।
৫ আগস্ট ছাত্র বিপ্লবের বিজয়ের পর দেশের মানুষের ভিতরে একটি প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো সংস্কার হবে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে মানুষ তত হতাশ হচ্ছে।
সংস্কারের নামে বদলি করা হচ্ছে, যেমন এক খেতের গরু অন্য খেতে পাঠিয়ে দিলে, খেত খাওয়া বন্ধ হবে না, শুধু বদলি করলেই মানুষ সংস্কার হয় না। প্রয়োজন আইনের প্রয়োগ, প্রয়োজন একটি মানুষের সার্বিক সমস্যাগুলো সরকারীভাবে দেখে তাকে পরিচালনা করা। তাহলেই হবে প্রকৃত সংস্কার।