স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহী জেলার রাজশাহী ০১, গোদাগাড়ী -তানোর -৫২, সাবেক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক শিল্প প্রতি মন্ত্রী সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী রাজাবাড়ি হাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম রেজাকে পিটিয়েছিলো এই শিরোনামে একাধিক পত্রিকায়, টিভি চ্যানেল ও পোর্টালে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সমকাল, পদ্মা টাইমস, আর টিভি, যমুনা টিভি ইত্যাদিতে একের পর এক নিউজ প্রকাশিত বিদ্যমান ও প্রক্রিয়াধীন ও চলমান। বিষয়টি আমি সহ অনেকের দৃষ্টি গোচর হলে আমি গত সম্ভবত ১৩ তারিখ বা ১৪ তারিখ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর আস্থাভাজন দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল উদ্দিন সোহেলের নিকট নিশ্চিত হওয়ার জন্য মোবাইল করলে তিনি বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান।
বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান কে একাধিক বার কল করে মোবাইল চালু থাকলেও এম পি সাহেব মোবাইল ধরেনি।
পরবর্তী পর্যায়ে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মোবাইল করলে তাঁর মোবাইল বন্ধ দেখা যায়।
নিউজ লিখা আরম্ভের পূর্ব পর্যন্ত আজকেও বেশ কয়েকবার মোবাইল করা হয়েছে কিন্তু অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সাহেব মোবাইল রিসিভ করেননি।
এখন মন্তব্য করা যায় যে, এতোকিছু আলোচনায় আসার জন্য দায়ী কে? সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, সাবেক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,মিডিয়া নাকি অধ্যাক্ষ সেলিম রেজা কে এই নাটকের মঞ্চ তৈরি করেছেন? এখন এটা বললে কি ভুল হবে যে,সকল নাটকের মুল হোতা অধ্যাক্ষ সেলিম রেজা। কেননা গত ০৭/০৭/২০২২ ইং তারিখ রাতে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী সাহেবের নিউমার্কেটের চেম্বারে অধ্যাক্ষ সেলিম রেজা পিটুনি খেয়েছে এটা তো সঠিক!
এখন প্রশ্ন হলো সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী উনাকে পেটাননি অন্যান্য অধ্যাক্ষ তাকে কলেজ ফোরামের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তাঁরা পিটিয়েছেন বা লাঞ্চিত করেছেন, সেটাই যদি সত্যি হয় তাহলে একজন অধ্যাক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন অডিও আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, অধ্যাক্ষ সেলিম রেজাকে উদ্দেশ্য করে উপস্থাপন করলেন কেন?আসলে বাস্তবতা হলো এই যে, অধ্যাক্ষ সেলিম রেজা মিথ্যাবাদী ও সুবিধাবাদী না হলে ফেসবুকে নিউজ আসার সাথে সাথে অন্তত তিনি ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটা স্টাটাস দিলেন না কেন? আর উনি যেতে না বললে একজন নেতা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানলেন কীভাবে? তিনি অত্যান্ত চালাক ও মিথ্যাবাদী সেলিম রেজা জানেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত ছিলো এবং আছে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রথমে কাজে লাগাতে কৌশল অবলম্বন করেছেন কিন্তু মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী সাহেবের গোপন আশীর্বাদ পেয়ে উনি ভুল বলা এবং মিথ্যা বলা শুরু করেছেন।
আসলে সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক শিল্প প্রতি মন্ত্রী, সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এর মধ্যে যে পাল্টা পাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন করার মধ্য দিয়ে এই অধ্যাক্ষ সেলিম রেজা আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী সাহেবের আস্তাভাজন হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে সুবিধা ভোগ করার চেষ্টা করছেন বলে ধারণা করা যায় কেননা আজকে টপ নিউজ -২৪ এ সাক্ষাৎকার প্রদানকালে দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন কিন্তু এতো দিন তিনি কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি।
সকল তথ্যমতে, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা পিটুনি খেয়েছে এটাই সত্য এবং এরকম মিথ্যাবাদী ও সুবিধাভোগী হওয়ায় তিনি যে কোন সময় মিথ্যার আশ্রয় এবং মিথ্যা কথা বলতে পারেন এতে কোন সন্দেহ নাই।
সুতরাং অধ্যাক্ষ সেলিম রেজাকে পেটানোর বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে তদন্ত কমিটি প্রেরণ করেছেন সে কমিটি তার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতঃ প্রাতিষ্ঠানিক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থাগ্রহণ করে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সবিনয়ে অনুরোধ রইল।