রাজশাহী ব্যুরো:
মানুষ বিপদে বা ঝামেলায় পড়লে অথবা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগলে থানায় যায়। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র দেখা মিলছে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায়। থানায় গিয়ে মানুষকে হয়রানি ও নির্যাতনে শিকার হতে হচ্ছে।
জানা যায়, বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ যোগদানের পর এলাকায় ছিনতাই, চুরি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য, প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা বেড়েছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, তদন্ত না করে মামলা গ্রহণ, থানার ভিতরে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।
ওসি মোস্তাক আহমেদ যোগদানের পর যেসব ঘটনা ঘটেছে, দরিখরবোনা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মার্ডর, তালাইমারী শহীদ মিনারে মার্ডার, রামচন্দপুর গুলিবর্ষণ ও কুপাকুপি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামালা, টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলা রুজুর অভিযোগ, মামলা রুজুর আগেই এজাহার নিয়ে বানিজ্য করেন আসামীদেরকে ডেকে, বি এন পি নেতাকর্মীদের রিরুদ্ধে মামলা / জিডি করা,চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে, পঞ্চবটিতে রমরমা মাদকের ব্যবসা-ওসির ঘনিষ্ঠ জনদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, থানার ভিতরে নারীর হিজাব খুলে শ্লীলতাহানী, অভিযোগ /জিডি রুজু করতে ইন্সপেক্টর তদন্ত মোতালেব হোসেন বিচার শালিস ও টাকা দাবী করে।
এছাড়াও, জুয়া পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক মাসে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদরি রৃদ্ধির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে রাতে এলাকায় রাতে চলাফেরা করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই হয়েছে। এখন তো আমরাও আতঙ্কে আছি।
নগরীর সাগরপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আগে এমন পরিস্থিতি ছিল না। নতুন ওসি আসার পর থেকেই অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
বোয়ালিয়া থানার ওসি তদন্ত মোতালেব হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন আমি ছুটিতে আছি এ বিষয়ে এখন কোনো কথা বলবো না।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, হত্যা মামলার ৫ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সর্বদা তৎপরতা চালাচ্ছি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপি মিডিয়া রাকিবুল হাসান জানান, সকল অপরাধ আমরা কঠোরভাবে দমন করতেছি। বোয়ালিয়া থানায় যেসব ঘটনা ঘটেছে কিছু আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
নতুন ওসি যোগদানের পর আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ব্যক্তিকেন্দ্রিক তো কিছু হয়না। এরপরও যদি কারও অবহেলা দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কারও বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে সরাসরি পুলিশ কমিশনারের কাছে এসে অভিযোগ জানাবে। ২৪ ঘন্টা আমাদের দরজা খোলা আছে।
রাকিবুল হাসান বলেন, মাদক ব্যবসায়ী বা কারও কাছ থেকে যদি কোনো কর্মকর্তা টাকা নিয়ে থাকে আমাদের জানালে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এরকম কর্মকর্তা প্রয়োজন নেই আমাদের।