সিলেট জেলা ব্যুরো প্রধানঃ-
কানাইঘাট উপজেলার ৬নং সদর ইউপির চটি গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে সুমি বেগমের বিয়ে হয় ২০১৭ সালে সুরাই ঘাট এলাকার ২নং ইউপি’র বাউর ভাগ ১ম খন্ডের আব্দুল হাসিম (আইনজাম) বয়স ৪২ পিতা মৃত আহমদ হোসেন এর সাথে এই পর্যন্ত সুমি বেগম ২টি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন তিনি।
কিন্তু সুমি ও তার পরিবারের দাবি যে বিয়ের ৩ মাস পর থেকেই সুমি বেগমের উপর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন স্বামী আব্দুল হাসিম (আইনজাম) এবং কিছু দিন পর পর বলেন যে সুমি বেগম নাকি তাহার বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দেয়ার জন্য এর মধ্যে অভাবের সংসার হওয়ার কারনে ব্যবসা করার জন্য দুই দুই বারে বাবার সামান্য ভিটেমাটি বিক্রি করে ৫০,০০০ হাজার টাকা নিয়ে দিয়েছেন সুমি বেগম আর সেই টাকা দিয়ে নাকি মাদক ব্যবসা করতেন আব্দুল হাসিম (আইনজাম)
এদিকে সুমি বেগম আরো বলেন যে আব্দুল হাসিম (আইনজাম) নাকি তাহার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ফাবিয়া বেগম (২২) সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে যার কারনে আমার এই সংসারে প্রতিদিনই ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে ঠিকমতো পরিবারের খরচপাতি ও কাপড়-চোপড় পাইনা এবং আমি এই বিষয়ে কোনো কথা বললেই আমার স্বামী ও তার বড় ভাই আব্দুল মন্নান (৫৫) এবং তাহার স্ত্রী ফাবিয়া বেগম (২২) সহ সবাই মিলে আমাকে গালিগালাজ মারপিট করতে থাকে ।
সুমি বেগম আরো বলেন যে দীর্ঘ এই ৪ টি বছর ধরে এই স্বামীর সংসারে বার বার আমার উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তারা আমি এই দুটি দুধের বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে আছি, এবং ২০১৯ সালে আমার মা গিয়ে ছিলেন আমার স্বামীর বাড়িতে তখন আমার মা সহ আমাকেতারা সবাই মিলে খুব নির্যাতন করেছিলেন আমার স্বামী, পরে আমার বাবা খবর পেয়ে সাথে সাথে কানাইঘাট থানায় একটি অভিযোগ করে পুলিশ সাথে নিয়ে গিয়ে আমর মা ও আমাকে উদ্ধার করেন কানাইঘাট থানা পুলিশ ।
আবার কিছু দিন পর এই গ্রামের মেম্বার ও মুরব্বিরা বসে গত ০৮-০৭-২০১৯ ইং তারিখে বিষয় টি ৩০০ টাকার একটি স্টাম্পের মাধ্যমে আপোষে নিষ্পত্তি করে দেন সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে জীবনে আর কখনো এইধরনের ভুল হবেনা শিকার করে স্ট্যাম্পে সাইন করেন আমার স্বামী আব্দুল হাসিম (আইনজাম) ও তার ভাই আব্দুল মান্নান (৫৫) এবং তার ভাবি ফাবিয়া বেগম (২২) ।
এখন আবারো গত ২৬-০১-২০২২ ইং তারিখে আমার স্বামী আব্দুল হাসিম (আইনজাম) বলেন যে আমার বাবার কাছ থেকে আরও ৫০,০০০ হাজার টাকা এনে দেয়ার জন্য এই কথার জের ধরে আমার স্বামী তাহার বাড়ির উঠানে সুপারি গাছের সাথে আমার হাত পা বেদে এমন ভাবে মারপিট করে আমাকে অজ্ঞান করে ফেলেন ।
তখন আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বিষয় টি অবগত করেন তারপর আমার বাবা আমার সামনে উপস্থিত হয়ে আমার অবস্থা দেখে ওই এলাকার বর্তমান মেম্বার আব্দুল মন্নান ও এলাকার কিছু মুরুব্বি দের ডেকে এনে বিচারের দাবি জানান তখন আমার স্বামী আব্দুল হাসিম (আইনজাম) আমার বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লম্বা একটি দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে তারই ফাঁকে আমার বাবার দুই পায়ে দায়ের কুপ লেগে কিছুটা জখম হয় তখন বর্তমান মেম্বার আব্দুল মান্নান ও এলাকার লোকজন আমার বাবা ও আমাকে উদ্ধার করে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন তারপর আমার বাবা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মামলার নং (০৯) এবং সি আর নং (৪৫) সুমি বেগম ও তাহার পরিবারের দাবি উক্ত বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন ।
এদিকে সুমি বেগমের বাবা ইয়াসিন আলী (৮৫) বলেন যে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আইনকে শ্রদ্ধা করি বলে কিন্তু প্রশাসন আসামিকে গ্রেপ্তার করছেন না আমার অভিযুক্ত আসামি এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাকে আরো হুমকি-ধামকি দিচ্ছে তাই আমি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন যে উক্ত আসামিদের কে অতিসত্বর আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।