ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া চন্দ্রপাড়া সানবান্ধা(বিসিএস) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত,স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও নির্দিষ্ট সময়ের আগে স্কুল ছুটি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকবাসী। উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। রবিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) ১টা ৪০ মিনিটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের কারনে ফুসে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। ১৩জন শিক্ষক,৩জন কর্মচারী ও ৩৭০ শিক্ষার্থী নিয়ে স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চলে আসলেও প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের কারনে শিক্ষার মান দিন দিন ভেঙ্গে পড়েছে । স্থানীয় অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তার জানান,আগে আগে স্কুল ছুটি দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের নতুন কোন বিষয় নয়। প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব আসার পর থেকে প্রায় নিয়মিত এ কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয় তিনি ঠিকমত স্কুলেও আসেন না।অনেক দিন দেরিতে এসে আগে চলে গেলেও মেনটেইন করেন না মুভমেন্ট খাতা।যে কারণে ঠিকঠাক পাঠদান হচ্ছে কিনা তিনি তার কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। ফলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ভেঙ্গে পড়েছে। স্কুল ছুটির ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল আলিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পান। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিপুল কুমার জানান,আমার কাছে প্রধান শিক্ষক মৌখিক অনুমতি নিয়েছিল,তবে স্কুল ছুটির ব্যপারে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব অনিয়ন ও দুর্নীতির সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ছুটির ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন সভাপতি ব্যপারটা অবগত আছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মধুসূধন সাহা বলেন,বিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত সময় ফাকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধ যেসব অভিযোগ আসছে তা খতিয়ে দেখা হবে। ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন,নিয়মবর্হিভূতভাবে স্কুল ছুটির ঘটনা ঘটলে তদন্ত সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সুষ্ঠ সুন্দর পরিবেশের মধ্যদিয়ে বিসিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক এমনটি প্রত্যাশা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।