মোঃ শাকিল রেজা স্টাফ রিপোর্টারঃ খাদ্যবান্ধব ১৫ টাকা কেজি দরে সরকারি চাউল বিতরনে চালের কার্ড নিয়ে নেওয়া, স্বাক্ষর নিয়ে চাল না দেওয়া সহ নানা অনিয়ম ও অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বারোবাজার ইউনিয়নের চাল প্রদানকারী ডিলারদের বিরুদ্ধে।
গত ৫ আগষ্ঠ সরকার পতনের পর পূর্বের ডিলার বাদ দিয়ে অস্থায়ী নতুন ডিলার দিয়ে চাউল দেওয়া শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই চাল বিতরনে একের পর এক নানা অভিযোগ উঠেছে চাল বিতরণকারী ডিলারদের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগীরা সঠিক ভাবে তদন্ত করে চাউল বিতরণের স্বচ্ছতা ফিরে পেতে গত ২৮ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারাবর একটি আবেদনও জমা দিয়েছেন উপকার ভোগীরা।
বারোবাজার ইউনিয়নের মাঠ বেলাট গ্রামের ফাইমা খাতুন জানান, তিনবার চাউল দেওয়া হলেও আমি দুইবার চাউল পেয়েছি। আমরা গরীব মানুষ, এই চাউলটা পাওয়াতে আমাদের সংসারে খুব উপকার হয় কিন্তু কার্ড থাকার পরও আমি এখন আর চাউল পাচ্ছিনা।
আরেক উপকার ভোগী বারোবাজার ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামের মাছুম উদ্দিন বলেন, আমাদের ৫/৬ জনের কার্ড ওরা নিয়ে নিয়েছে। হাসিনা যাওয়ার পর থেকে আর চাউল পাইনি। ওরা আমাদের কার্ড দিয়ে কন্টোলের চাউল তুলে নিচ্ছে।
ইউনিয়ন মাজদিয়া এলাকার ডিলার তরিকুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে বিষয়টি সঠিক না। বারোবাজার ইউনিয়নের পরিষদের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মহস্য অফিসার হাসান সাজ্জাদ বলেন, অভিযোগের ব্যপারটা তদন্ত চলমান আছে। খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট দিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, আমি বিষয়টি উক্ত ইউনিয়নের প্রশাসকের নিকট দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়ক হলেও অনিয়মের কারণে তারা সঠিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও চাল বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।