গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
কালী মন্দির ভাঙা ও এক শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি মমিনুল ইসলামকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মামলার দায়েরের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাইবান্ধা সদর থানার এস.আই আবু হানিফ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স শনিবার রাতে শহরের শাপলা পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার মমিনুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের মধ্যরাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। রোববার তাকে আদালতে নেয়া হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৭ জুন সদর থানায় মমিনুল ইসলাম তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, ছেলে সাগর মিয়া ও মেয়ে মিম খাতুন মিতুর বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর হিন্দু সম্প্রদায়ের কালীমন্দির ভাঙা ও এক শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টা ঘটনায় মামলা করা হয়।
মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মধ্য রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে প্রায় দেড়শ বছরের কালী মন্দিরে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূজা অর্চনা করে আসছিল। মন্দিরের প্রতিবেশী মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মমিনুল ইসলাম মন্দিরের জায়গা বেদখল করে ঘর উত্তোলন করেন। একপর্যায়ে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন মন্দিরের ঘর ভেঙে ফেলে অবশিষ্ট জায়গাও বেদখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে কয়েক দফা শালিস বৈঠক হলেও তারা সিদ্ধান্ত অমান্য করায় কোনো সুরাহা হয়নি। সর্বশেষ গত ৩ জুন শুক্রবার মন্দিরের পাশেই বোয়ালী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু ও স্থানীয় মেম্বর রবিজল ইসলাম এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শালিস বৈঠক বসে। মন্দিরের জমির সীমানা নির্ধারণের সময় চেয়ারম্যান সাবুর নির্দেশে খুঁটি পুঁততে গেলে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী দেব প্রিয় বর্মনকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, ছেলে সাগর মিয়া, মেয়ে মিম খাতুন মিতু ও তাদের লোকজন। তদের হামলায় নারীসহ আরও ৫ জন আহত হন। পরে শালিসের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় দেব প্রিয় বর্মনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।