বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
ঘোষনা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্কে নিবেদন করে জাতীয় কবিতা পরিষদের অনন্য এক আয়োজন । মিডিয়াকর্মি স্বর্ণময়ীর আত্মহত্যায় প্ররোচানাকারীর শাস্তির দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন বিজয়নগরে ১৫ টাকা কেজি ন্যায্যমূল্যের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ বি-২১০৪ ইউনিয়নের মহাসম্পাদক মোঃ মাসুদ আলমের মাতা ইন্তেকাল করেছেন সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ধামইরহাট ও পত্নীতলার জনগণের খাদেম হয়ে কাজ করতে চান এমপি পদপ্রার্থী আব্দুর রহমান গলাচিপায় যুবদল কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মহিপুরে বিএনপি’র কর্মী সভায় খালেদা জিয়ার সাঁজে কিশোরী বরিশালের ৬ টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি চট্টগ্রামে থানায় ঢুকে পুলিশ পেটালেন সাবেক শিবির নেতা, খুনের মামলার আসামি ছাড়ানোর চেষ্টা৷ শাহজাদপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ সচেতনতাই পারে বাঁচাতে হাজার প্রাণ ;ইউএনও মোঃ কামরুজ্জামান আল্লাহ পাক আমাদের প্রিয় জনাব খান সেলিম রহমান স্যারকে দ্রুত সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করুন — আমিন। 🤲 দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। পুনিয়াউট ও নয়নপুর রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিকদলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিদ গুলনার ইভার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন অভিযোগ। যশোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাউবো ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী মহাসিনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী ও নিয়োগ বাণিজ্যের দুদকে অভিযোগ ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুস তুহিনের মোটরসাইকেল শোডাউন ও গণসংযোগ। “পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে ইমাম হোসেন আকাশ নামে এক ছিনতাইকারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৭। যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার চেষ্টা: প্রতিপক্ষের

কিভাবে ১লা বৈশাখ উদযাপন রীতি এলো? বাংলা নববর্ষের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২০০ বার পঠিত

 

 

ভারতবর্ষে মোগল সম্রাজ্য পরিচালিত হতো, হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে। আর হিজরি পঞ্জিকা চাঁদের উপর নির্ভরশীল। যেহেতু কৃষকদের কৃষি কাজ চাঁদের হিসাবের সাথে মিলতো না, তাই তাদের অসময়ে খাজনা দেয়ার সমস্যায় পরতে হতো। সেই কারণে খাজনা আদায়ে কৃষকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সম্রাট আকবর বর্ষ পঞ্জিতে সংস্কার আনেন। তখনকার বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সম্রাট আকবরের আদেশে সৌর সন ও হিজরি সন এর উপর ভিত্তি করে বাংলা সনের নিয়ম তৈরি করেন। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবেই খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে। পূর্বে ফসল কাঁটা ও খাজনা আদায়ের জন্য এই বছরের নাম দেয়া হয়ে ছিলো ফসলি সন। পরে তা বঙ্গাব্দ আর বাংলা সন করা হয়। তখন চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে খাজনা, শুল্ক দিতে হতো কৃষকদের। তাই তখন থেকেই সম্রাট আকবর কৃষকদের জন্য মিষ্টি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। হালখাতার প্রচলনও সম্রাট আকবরের সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা করেছে।

১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়।

বর্তমানের বাংলা পঞ্জিকা ও বাংলা নববর্ষ পালন:

বর্তমানের বাংলা সন এসেছে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে। বাংলাদেশে এই গ্রেগরীয় বর্ষ পঞ্জি অনুসারে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল শুভ নববর্ষ পালন করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকেই মঙ্গল-শোভাযাত্রা বাঙ্গালির নববর্ষ উদযাপনের একটি প্রধান আকর্ষন। উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা অনুষদ থেকে আয়োজিত যে মঙ্গল-শোভাযাত্রার বের করে, সেটিকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষাণা করে। বাংলাদেশে নববর্ষ ১৪ এপ্রিল পালিত হলেও পশ্চিম বঙ্গে তা ১৫ এপ্রিল পালন করা হয়। কারণ, ভারতে হিন্দু সম্প্রদায় তিথি পঞ্জিকা অনুসরণ করে থাকে। বাংলাদেশে আধুনিক বাংলা বর্ষ পঞ্জিকায় গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ১৪ এপ্রিল বাংলা বছরের প্রথম দিন নির্দিষ্ট করা হয়।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় নিয়ে দু’টি গোত্র লক্ষ্য করা যায়। কেউ বলে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে বাংলা বছরের শুরু হয়, তাই শুভেচ্ছা তখনই দিতে হবে। আর অপর পক্ষ বলে ইংরেজি পঞ্জিকার ন্যায় রাত ১২টার পরেই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হয়। আসলে কোনটি সঠিক? ভোরের আলো ফুটার আগে কি আমাদের দেশে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না? যেহেতু আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসরণ করে, তাই সে নিয়ম অনুযায়ী রাত ১২টার পরেই আমাদের নতুন বছর শুরু হয়ে যায়। তাই, আমাদের দেশে আমরা রাত ১২টার পরেই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে পারি।

গ্রামীন রীতি অনুসারে ভোর সকালে কৃষকেরা নতুন জামা গায়ে দিয়ে পরিবারের সাথে নানান পদের ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত, পিঠা-পুলি, মিষ্টি খেয়ে দিনটি সূচনা করে। তাছাড়া, কয়েকটি গ্রাম মিলে বৈশাখী মেলার আয়োজন করতো। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য মেলায় উঠাতেন। কেউ মাছ, কেউ খেলনা, কেউবা শাড়ি-চুড়ি, চুলের ফিতা। ধারণা করা হয় আমাদের ইলিশ মাছ খাবার ঐতিহ্য এই মেলা থেকেই এসেছে। আগে মাটির ঘোড়া রাখা হতো, এরপর থেকে মেলায় নাগর-দোলা, চরকা, ঘোড়ার আকারে ঘূর্ণী দোলনা রাখা হয়।

প্রতি বছর রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান থাকে। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানিয়ে ঢাকার রাস্তায় শোভাযাত্রা করে বরণ করা হয় নতুন বছরকে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে সকলেই। এই বৈশাখী সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991