মোঃ ইলিয়াস শেখ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার মহাসড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখা বাসগুলোর কারনে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যত্রতত্র ও এলোমেলো ভাবে এ বাসগুলো পার্কিং করার সৈকতে যাওয়ার সড়কটিও প্রশস্ত কমে গেছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভ্যান চালকরা পড়েছে বিপাকে। যানজট নিরসনে কিংবা দায়িত্ব পালনে দেখা যয়ানি কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এর ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার শংকায় করেছে পর্যটকসহ পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা টিঅ্যান্ডটি রেস্ট হাউজ পার হয়ে মোড় ঘুরলেই সড়কের দুইপাশে দূরপাল্লার পরিবহন ও বিআরটিসির বাসগুলো রাখা হয়েছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের চৌরাস্তায় গিয়ে সৈকতের দিকে তাকালে হাতের ডানে (পশ্চিম দিকে) দেখা যাবে পটুয়াখালী আন্তঃজেলা ও বরিশাল বাস কাউন্টার। এসব বাসের কারণে সরু হয়েছে রাস্তা। পর্যটক ও স্থানীদের হোটেল ও জেলে পল্লিতে অনেক কষ্ট করে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
স্থানীয় জানান, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তর বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় শুধু পর্যটন মৌসুম নয়। সারা বছরই পর্যকদের পদভারে মুখরিত থাকে কুয়াকাটা সৈকত। এরই সাথে আরও বেড়েছে পরিবহনের সংখ্যা। এ সমস্যা নিরসনের জন্য দ্রুত বাস টার্মিনাল নির্মানের দাবি কুয়াকাটা বাসির । এভাবে সড়কের উপর পরিবহন থামানো খুবই বিপদজনক। এতে অনেক ঝুঁকি থাকে। তবে এখানে নির্দিষ্ট একটি বাসস্ট্যান্ড দরকার বলে এই পর্যটক জানিয়েছে।
কুয়াকাটা পরিবহনগুলো সড়কের উপর এলোমেলো ভাবে পার্কিং করায় কুয়াকাটার সৌন্দর্য্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পর্যটকসহ স্থানীয়দের চলাফেরায় সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। দ্রুতগতিতে বাস টার্মিনালটি নির্মান হাওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, ৬ একর জমির উপর কুয়াকাটায় আধুনিক মানের বাস টার্মিনাল নির্মানের কাজ চলছে। এছাড়া যাত্রীদের জন্য যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা করাও হচ্ছে। আসা করছি শীগ্রই এই সমস্যা নিরসন হবে।