মামুন আহমেদ (জয়) স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে কয়েকটি মসজিদের উন্নয়নের জন্য ভোগদখলকৃত প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি ভূয়া দলিলপত্র তৈরী করে জবরদখলের পায়তারা করছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি বিরুদ্ধে।এনিয়ে এলাকায় বেশ উত্তজনা দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে ওই সম্পত্তি রক্ষার জন্য এলাকার আশপাশের কয়েকটি মসজিদের ও ঈদগাঁ মাঠের সভাপতিরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার জোয়ার আমতা গ্রামের পাশে আমতা মৌজায় সি এস ৭ এবং এস এ ৩ ও ৪ নং খতিয়ানের ২৯১ দাগে এবং আর এস ১৮৪ ও ৪৮৬ নং খতিয়ানের ৪০৬ নং দাগে ১৫৫ শতাংশ ডোবা জমি ১৯৬৬ সালে ওই এলাকার জনৈক শরতচন্দ্র গংরা উক্ত সম্পত্তি ফেলে রেখে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
পরে ওইসময় থেকেই এ সম্পত্তি কাচা রাজাপুর জামে মসজিদ, জোয়ার আমতা জামে মসজিদ, জোয়ার আমতা নয়াপাড়া জামে মসজিদ,খলিলাবাদ জামে মসজিদ,জোয়ার আমতা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, জোয়ার আমতা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ ও জোয়ার আমতা ঈদগাঁ মাঠের উন্নয়নের জন্য মাছ চাষ করে ওই সম্পত্তি ব্যবহার করে আসছিল।এরমধ্যে হঠাৎ করে জোয়ার আমতা গ্রামের নুর নবীর চতুর ছেলে রফিকুল ইসলাম তার বাবা নুর নবীর নামে একটি দলিল তৈরী করে যার নং ১৮৭২ সাল ১৯৭৩।
চতুর রফিকুল ইসলাম তার বাবাকে দিয়েই নিজের নামে হেবা ঘোষনা দলিল করে নেয়।১৯৭৩ সালের ১৮৭২ নং দলিলে দেখা যায় দাতা গ্রহীতা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা রয়েছে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে সহকারি কমিশনার(ভূমি) অফিসে ভুল তথ্য দিয়ে নামজারি ও জমাভাগ করে নেয় রফিকুল ইসলাম। এ নামজারি ও জমাভাগ বাতিল করার জন্য ভূমি অফিসেও অভিযোগ দিয়েছেন মসজিদ কমিটির লোকজন।
এব্যাপারে জোয়ার আমতা ও কাচা রাজাপুর ঈদগাঁ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার ও জোয়ার আমতা গ্রামের রুস্তম আলী বলেন, জনৈক শরতচন্দ্র গংরা উক্ত সম্পত্তি ফেলে রেখে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে য়ায়। ওই সময় থেকেই এলাকার কয়েকটি মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওইজমি চাষাবাদ করে আসছিল ।
হঠাৎ করেই রফিকুল ইসলাম নামে একব্যক্তি জালজালিয়াতি করে দলিল তৈরী করে এ সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছে। আমরা এলাকাবাসী রফিকুলের জালদলিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
সেইসাথে তার নিজনামে নামখারিজ বাতিলের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।