নিজস্ব প্রতিবেদক: ,আজ শনিবার ( ১৭ আগস্ট ) বেলা ১২ ঘটিকার সময় রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ। বৈধতা থেকেও দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতিষ্ঠানটিকে আলোর মুখ দেখতে দেয়নি তৎকালীন সরকার দলীয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বৈধতার ফাইল হাতে নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক চাপের মুখে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোন সমাধান হয়নি কলেজটির। তবে সরকারের পালা বদলে হয়রানি থেকে রেহাই পেয়ে কলেজটি এখন পুর্নাঙ্গ আলোর মুখ দেখবে এমনটি প্রত্যাশা কলেজেটির প্রতিষ্ঠাতা মনিরুজ্জামান স্বাধীনের।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা শুরু করে শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ হসপিটাল। এরপর নানামূখী বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ২০১৩ সালে ৫০ (পঞ্চাশ) আসন বিশিষ্ট্য মেডিকেল কলেজর অনুমোদন প্রাপ্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি।
কলেজ প্রতিষ্ঠার আইন অনুসারে সকল শর্ত পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী দু:শাসনের সুযোগে আমাদের উপরে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন অব্যাহত ছিল। এই কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদকে জামাত-বিএনপির পৃষ্টপোষক ট্যাগ দিয়ে সম্ভবনাময় এই প্রতিষ্ঠানটিকে আনুমানিক ২০০ (দুইশ কোটি) টাকার ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে এছাড়াও আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রায় ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট করে দেশের অপূরনীয় ক্ষতি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি ।
প্রতিষ্ঠানটি প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি দেশে বর্তমান ৭২ টি বেসরকারী মেডিকেল কলেজের মধ্যে শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ এর অবস্থান নিমোর্হ বিশ্লেষণে প্রথম ২৫ টি মেডিকেল কলেজের মধ্যেই অবস্থান করবে। আমি মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে কলেজটি সরজমিনে পরিদর্শন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে আওয়ামী দু:শাসনে জড়িত সংশিষ্ট পদস্থ্য ব্যক্তিবর্গ যারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাক্তি স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবের্ষের ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি, চলতি সেশনসহ পরবর্তী সেশনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ, দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আলোকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।