স্টাফ রিপোর্টার-ঃ
পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান বলেছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সুনাগঞ্জের কৃষকদের জন্য বিপজ্জনক ছিল। প্রথম ধাক্কা সামলানো গেছে। এই ধাক্কায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সরকার এসব কৃষকদের পাশে দাড়াঁবে। ইতোমধ্যে সরকারি সহায়তা প্রশাসনের কাছে পৌছেছে। এই সহায়তা দ্রুত প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছাতে হবে ।
তিনি বলেন, আগামী দুদিন বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে। এ সময়ে হাওররক্ষা বাধগুলোকে নিবিড় তদারকির মধ্যে রাখতে হবে। একই সঙ্গে দ্রুত ধানকাটা সারতে হবে। হাওরে এখন বহু সংখ্যক ধানকাটার যন্ত্র রয়েছে। শ্রমিকদেরও কাজে লাগাতে হবে। অন্যান্য জেলার শ্রমিকদের নিয়ে আসতে হবে। আসার পথে শ্রমিকরা যাতে বাধার মুখে না পড়ে সেটি প্রশাসন খেয়াল রাখবে। তিনি আরো বলেন, এ বছর প্রধান কাজ ধান ঘরে তোলা। পরের বছরও বাঁধের কাজ আরও ভালো করতে হবে। হাওরে অনেক স্থানে স্থায়ী বাঁধ সম্ভব নয়। প্রতি বছরই কিছু কাজ করতে হবে। তিনি বলেন হাওরে কম জীবনকালের ধানের বীজের উদ্ভাবনের চেষ্টা হচ্ছে। হাওরের সকল বাঁধে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের ঝূকিপূর্ণ আহসানমারা বেরিবাঁধ পরিদর্শন কালে প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব মো. হাসনাত হোসাইন,শান্তিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ