গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম মান্দুয়ারপাড়া গ্রামে বিরোধপূর্ণ পুকুর নিয়ে এক সংঘর্ষের ঘটনায় হৃদয় চন্দ্র বর্মণ (৩৭) নামে এক যুবক নিহত ও অপর ৪ জন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় পুলিশ ৪ নারীসহ ৬ জনকে আটক করেছেন। আটককৃতরা হচ্ছেন- শচীন চন্দ্র বর্মণ, মিলন চন্দ্র বর্মণ, রূপালী রানী শেফালী রানী, পূর্নি রানী ও মেনেকা রানী। নিহত হৃদয় চন্দ্র বর্মণ ওই গ্রামের তরণী চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, তরুণী চন্দ্র বর্মনের সাথে বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে প্রতিবেশী ধীরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার বিকালে বিরোধপূর্ণ ওই পুকুরটি ধীরেন্দ্র চন্দ্রের ছেলে শচীন ও মিলন ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দখল করতে যায়। এসময় তরুণী চন্দ্র ও তার ছেলেরা বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় হৃদয় চন্দ্র (৩৭), তার স্ত্রী মাধবী রানী (২৫), তরণী চন্দ্রের ছেলে উদয় চন্দ্র (২৬), একই গ্রামের ধীরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের ছেলে শচীন চন্দ্র বর্মণ (৩৫) ও মিলন চন্দ্র বর্মণ (৩২)সহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের সকলকে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে হৃদয় চন্দ্র বর্মনের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত গভীর রাতে হৃদয় চন্দ্র মারা যান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুভাস চন্দ্র বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ নারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে এবং বাকীদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।