পারিবারিক কলোহের জেড়ে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের জামেনা বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এরশাদ মিয়া নামের এক যুবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ মার্চ ) বিকালে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জিমির সাথে একই ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে লাইজুর সাথে বিবাহ হয় । সাংসারিক মনমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় লাইজু মিয়ার অন্তসত্তা স্ত্রী জিমি আক্তার ৫ মাস ধারে তার বাবার বাড়ী কামারপাড়ায় থাকছেন । কিছু দিন আগে জিমি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। জিমির স্বামী লাইজু ছেলের ছবি তোলার জন্য একই গ্রামের এরশাদ মিয়া নামের এক যুবককে অনুরোধ করেন। এর পরে যুবক এরশাদ গত বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০ টায় সাঘাটা উপজেলার জিমির মা স্ত্রী রিনা বেগমের কাছে আসেন তার নাতীর ছবি তোলার জন্য। রিনা বেগম ছবি তুলতে নিষেধ করে গলিগালাজ করে এই নিয়ে দু’জনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষের হাতাহাতির শুরু হলে রিনার জ্যা জামেনা বেগম ঘটনা স্থালের উদ্ধার করতে আসলে দুপক্ষের রোষালে পরে হাতে আঘাত পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সাঘাটা হাসপাতালে নেয়া হয় । হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়া হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে জামেদা বেগম (৫৫) কে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয় । জমেনা বেগম নিজ বাড়ীতে এসে রাত ৮টার দিকে মারা যায়।
সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা: আরিফুজ্জামান জানান “ জামেনা বেগম নামের এক নারী অসুস্থ্য অবস্থায় ২৯ মার্চ সকাল ১১ টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ৩০ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিড়ে যায়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু ইসলাম জানান,“ গতকাল বৃহস্পতিবার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের পারিবারিক দ্বন্দেও একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে । সেই মামলার এজাহারে অসুস্থ্য জামেনা বেগম নামের এক নারীর গতকাল রাতে মারা যায়। এঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু ঐ নারী হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ীতে গিয়ে মারা গেছে তাই মৃত্যুও কারন জানতে এই লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।