গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
পথের মাঝে স্লুইচ গেট। এর পাদদেশে সৃষ্টি হয়েছে ভাঙন। সম্প্রতি পানির চাপ বাড়ার ফলে সেই ভাঙন থেকে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। এর ফলে আসছে বর্ষায় বাড়তি পানির ঢলে গেটটির বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রাণহানীসহ নষ্ট হতে পারে এলাকার কৃষি ফসল। এ নিয়ে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায় রয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে ঝুঁকিতে থাকা ওই গেটটির দেখা মেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়। এখানকার ঘাঘট ব্রিজ-কামারপাড়া কাঁচা রাস্তার খামার বাগচী ও পুরানলক্ষীপুর গ্রামের সীমান্তবর্তী স্থানের গেট ঘেঁষে বিশালাকৃতির সৃষ্টি হওয়া সুড়ঙ্গটি সহজেই চোখে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, কৃষি ফসল রক্ষায় কয়েক যুগ আগে ওই স্থানে নির্মিত হয় স্লুইচ গেটটি। এরই মধ্যে গেটটি ঘেঁষে রাস্তার নিচে একটি সুড়ঙ্গ (গর্ত) সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও হালকা যানবাহন ও হেঁটে সুড়ঙ্গটির ওপর দিয়ে মানুষ চলাফেরা করছে। এতে করে মাটি ধসে যে কোনো মুহূর্তে প্রাণহানী হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অতি ঝুঁকিতে রয়েছে স্লুইচ গেট। দ্রুত সুড়ঙ্গটি মাটিভরাট না করা হলে পানির চাপে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে এই গেটটি। সেই সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগসহ পানিতে তলিয়ে যেতে পারে সহস্রাধিক হেক্টর কৃষি ফসল। বিদ্যমান পরিস্থিতে নুরপুর, খামার বাগচী, পুরানলক্ষীপুর, কামারপাড়া, হিয়ালীসহ আশপাশের প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ওই স্লুইচ গেটের রেগুলেটরম্যান ও সাবেক ইউপি সদস্য মোছা. ছালমা বেগম জানান, কয়েক দিনের বর্ষণের কারণে হঠাৎ করে রাস্তার নিচে গেট সংলগ্ন বড় ধরণের সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে গেটটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবিলম্বে সংস্কার করা না হলে দুর্ঘটনাসহ মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়তে পারে।
এ বিষয়টির সতত্যা স্বীকার করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম ওয়াদুদ জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্লুইচ গেটটি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।