রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধাসহ সাত উপজেলায় আজ ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা। শিশিরকণা মিশ্রিত ঠান্ডায় জবুথবু জনজীবন। ঘন কুয়াশা পড়ায় সড়কে যান চলাচল করছে কম।
গাড়িচালকরা হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়ক পাড়ি দিচ্ছেন ধীরগতিতে। কুয়াশা আর ঠাণ্ডার মধ্যে ঘুম থেকে উঠেই জীবনের তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন অফিসগামীরা। রিস্কা, অটো চালকরা জীবনের তাগিতে রাস্তায় নেমেছে শ্রম বিক্রি করতে। আর কৃষকরা এ শীতের মধ্যে কষ্ট করে মাটি কাটার কাজ করছে রাস্তার।
বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস উত্তরে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ভোর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
বেলা গড়ালে খানিকটা বাড়লেও আবার বিকেল হতেই কমতে শুরু করছে তাপমাত্রা। রাতেরবেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে আরও। ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা গাইবান্ধার চরাঞ্চলের অবস্থা আরও করুণ। শীতে কষ্ট পাচ্ছেন দুঃস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশায় দিনের বেশির ভাগ সময় রোদ দেখাই মিলছে না। ফলে এই হাড়কাঁপানো তীব্র ঠান্ডা কাহিল করে ফেলেছে গাইবান্ধাবাসীকে। শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকুলও কাঁপছে। তবে শীতের দাপটে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি কাতর হয়েপড়েছেন জেলার চরাঞ্চলসহ সাত উপজেলার হতদরিদ্র-ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষরা। শহরের কাচারি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, তুলা, কাপড়, সুই ও সুতা নিয়ে লেপ তৈরিতেব্যস্ত সময় পার করছেন ধুনকাররা।
গরম কাপড়ের অভাবে এসব মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সাময়িকভাবে শীত নিবারণে খড়কুটোর আগুনই যেন তাদের একমাত্র ভরসা। তবে রাতের বেলায় বৃষ্টির মতো পড়তে থাকা কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে তাদের কষ্ট আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে এ জেলার মানুষ