গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৬ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়াহাট বাজারে অবস্থিত বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান পত্রকিা ফলক টি দীর্ঘ দিন থেকে অযন্ত আর অবহেলারয় পড়ে থাকায়। এবার গেল গত ১৭ মার্চ এ এলাকার রহমতপুর এম এম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর নির্দেশে পত্রিকা ফলক টি ভেঙ্গে দিয়ে সেই স্থানে বানিজ্যিক ভাবে দোকান ঘর নির্মান করায় স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৬ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া হাট বাজারে গত ২০১৬ সালে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত রাখতে এ অঞ্চলে জ্ঞানের আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সে সময় অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মরহুম আব্দুস সালাম সরকারকে কে প্রকল্পের আহবায়ক করে সংশ্লিষ্ট স্থানে বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান পত্রিকা ফলক নির্মান করা হলেও ফলকটি নির্মানের পর থেকেই রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, সহকারী শিক্ষক নুরুল আমিন, আঃ মান্নান সংগবদ্ধ একটি গোষ্ঠি এই পত্রিকা ফলকটি ভেংগে দোকান ঘর নির্মানের পায়তারা করে। পত্রিকা ফলকের পিছনের দিকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে গর্তের সৃষ্টি করলে পিছন দিকে হেলে পড়লে ফলকটি ভেংগে ফেলেন তারা। আবার সামনের অংশে ময়লার আর্জনার স্তুপ করায় মূল ফলকের পুরোটাই পত্রিকা লাগানোর অনউপযোগি হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফলক চত্বরের একমাত্র রাস্তা উত্তর ও পশ্চিম দিকে লোহার গেট লাগিয়ে জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহিরে চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে । গত ১৭ মার্চ এ এলাকার রহমতপুর এম এম উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর নির্দেশে পত্রিকা ফলকটি পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলে এই স্থানে বানিজ্যিক লাভের আশায় দোকান ঘর নির্মান করেছেন। স্বাধীনতার মাসে চিরদিনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহৃ মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে এলাকা বাসী ধারণা করছেন।তাই দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তিসহ বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান পত্রকিা ফলকটি নির্মান করে স্থানীয় জনগণের জন্য পত্রিকা পড়ার সুযোগ সৃষ্টি ও ফলকের আশে পাশে জায়গা দোকান ঘর অপসারণ করতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, এখানে কোন পত্রিকা ফলক ছিলো না। এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে সরেজমিনে কোন চিহৃ নেই। সেখানে টয়লেট রয়েছে এর পাশে কি করে বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে পত্রিকা ফলক থাকে। তিনি আরো বলেন বিষয়টি স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জানেন এবং তিনি উক্ত দোকান উদ্বোধন করেন। এছাড়া সদর উপজেলা নিবাসী অফিসার এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক।
এদিকে এমন বিষয়ে জানা নেই জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান,বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তরিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বর্তমান সময়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে একমাত্র স্মৃতি চিহৃ বিলিন হওয়ার বিচার চাওয়া ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের পরিবার।
(ছবিটি বিগত সময়ে তোলা)