গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার রহমান শিহাব(১৫) হত্যার রহস্য উন্মচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২০জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এসপি মো. তৌহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পঞ্চাশ লাখ টাকা মুক্তিপণের আশায় ঈদের দুই সপ্তাহ আগে সুমন, জিন্না ও বাদশা তিন বন্ধু পূর্ব বেলকা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে (একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র) শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক গত ১৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে শিহাবকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে যায় তারা। মুক্তিপণের পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে। মোটরসাইকেলে করে তিন বন্ধু শিহাবকে তুলে নিয়ে যায় ধুবনি এলাকার তিস্তা নদীর লাল চামার খেয়াঘাটে। সেখানে শিহাবকে বস্তাবন্দি করে তিনবন্ধু চুবিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
ঘটনার পরদিন গত ১৫ জুলাই নিহত শিহাবের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর ১৬ জুলাই অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আতাউর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯জুলাই) রাতে হত্যায় সাথে সরাসরি জড়িত তিন কিশোরকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সুমন (১৫), শান্তিরাম গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে জিন্না মিয়া (১৬) ও একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া (১৪)। তারা তিনজন স্থানীয় বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে হত্যাকারি ওই তিন কিশোর। বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে নেয়া হবে।