গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের সুচনা হলো বহুল প্রতিক্ষিত ইপিজেড স্থাপনের। এ যেন মঙ্গাপীড়িত এলাকার তকমা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রাপথের সাথী হিসেবে পথচলার শুরু। দেশ ও এলাকার উন্নয়ন বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রের মুখে ছাই দিয়ে বুধবার (২৫ মে) স্থাপন করা হলো উত্তর জনপদের রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে বহুল কাঙ্খিত রংপুর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (আরইপিজেড) এর সাইনবোর্ড। আর এতেই খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে এলাকায়।
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কর্তৃক গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাইয়াগঞ্জ ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় গোবিন্দগঞ্জ দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে স্থাপনের পর এই সাইনবোর্ড পথচারীদের দৃষ্টিগোচর হয়। আর এই সাইনবোর্ড স্থাপনের খবরে খুশির বন্যা বইছে উপজেলাজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক উপজেলার ব্যবহারকারীদের ওয়াল ভরে গেছে এই সাইনবোর্ডের ছবিতে।
বর্তমান সরকার রংপুর চিনিকলের নিজস্ব মালিকাধীন সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারের জমিতে দেশের ১০ম রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর নাম দেওয়া হয়েছে রংপুর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (আরইপিজেড)। ইতোমধ্যেই বাণিজ্যিক খামারের ১ হাজার ৮শ’ ৪২ একর জমির মধ্যে ৪০০ একর জমির দলিল বেপজার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এই সাইনবোর্ড স্থাপনের মধ্যে দিয়েই দৃশ্যমানভাবে আরইপিজেড এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো বলে মনে করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীসহ এলাকার লোকজন।
এখানকার প্রায় সকল পেশার লোকজনই অভিযোগ করেছেন, কোন প্রকার দালিলিক প্রমাণ ছাড়াই সহজ-সরল ও নিরীহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির একদল মানুষকে জমি দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেকে এনেছে এখানকার কয়েকজন ভূমিদস্যু। তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তীর-ধনুকসহ সন্ত্রাসী কায়দায় চিনিকলের মালিকানাধীন সরকারি সম্পদ লুটপাটের অপচেষ্টা করছে ওই চক্রটি। গাইবান্ধা জেলা সদর থেকে কালোকাঁচে ঘেরা মাইক্রোবাসে দিনাজপুর দিয়ে ঘুর পথে গোপনে এসে এদের ইন্ধন দেয়া একটি রহস্যময় গ্রুপ দেশের উন্নয়নবিরোধী চক্রকে এখনই আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে উপজেলাবাসীসহ উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে আরইপিজেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন উপজেলার সকল স্তরের মানুষ।