মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
ঘোষনা
রাজশাহী জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্বাস্থ্য প‌রি‌ষেবায় নতুন মাইলফলক স্থাপন করল কোলকাতার ডিসান সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ভ্যানচালক আটক প্রাণের মেলা জাতীয় কবি পরিষদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্হা নেয়া হবে। নেছারাবাদে পুলিশ সুপার আবু নাসের পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ভোলায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল শরীয়তপুর এসএসসি ২০০০ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত:৮১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক! নাটোরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার, ট্রাক জব্দ

গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা করোনা বাজারে মেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু

রানা ইস্কান্দার রহমান
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৫১ বার পঠিত

গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে ‘করোনা’ নামে একটি গ্রাম্য বাজার। শুরুতে দু-একটি দোকান থাকলেও এখন তা পরিণত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ একটি বাজারে। শাকসবজি, মাছ-মাংসের দোকান থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই মেলে এই বাজারে।

গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়নের বাইগুনি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থান করোনা বাজারের। পাশেই বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলা। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ বাজার চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

২০২০ সালে যখন করোনা শুরু হয়, তখন লকডাউনে সোনাতলায় যাওয়া বন্ধ হয় বাইগুনি এলাকার লোকজনের। রাস্তায় রাস্তায় দেওয়া হয় ব্যারিকেড। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে প্রতিবন্ধকতায় পড়ে স্থানীয়রা। পরে বাধ্য হয়ে এলাকার লোকজন একটি জায়গা নির্ধারণ করে একটি বাজার গড়ে তোলে। করোনাকালে বাজারটি তৈরি হয় বিধায় এলাকার মানুষজন নাম দেয় ‘করোনা বাজার’। সেই থেকে জেলা-উপজেলার গ্রামগঞ্জে বাজারটি করোনা বাজার নামে পরিচিত হয়ে আসছে।

করোনা বাজারে জিনিসপত্র কিনতে আসা শান্তনা বেগম নামে এক নারী জানান, করোনা সময় সোনাতলা উপজেলায় যেতে না পেরে স্থানীয়রা বাজারটি গড়ে তুলে নাম দেয় করোনা বাজার। এই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই পাওয়া যায়।

করোনা বাজারের রাজু নামে এক মুদি দোকানদার বলেন, বাজারটি নতুন হলেও এই বাজারে সবকিছু পাওয়া যায়। এখানকার লোকজনকে আর সোনাতলা বাজারে যাওয়া লাগে না। সবচেয়ে ভালো হয়েছে, আমার মতো কিছু বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

পাশের মোকলেসুর রহমান নামে এক কাপড়ের দোকানদার বলেন, সকাল থেকে বাজারটি শুরু হলেও সকালের দিকে তেমন বেচাকেনা হয় না। মূলত বিকেল থেকে বাজারটি জমজমাট হয়ে ওঠে। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বাজারের কার্যক্রম। এই বাজারে আলু, পটোল, পেঁয়াজ মরিচ থেকে শুরু করে সব পণ্যই পাওয়া যায়।

শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ বলেন,এলাকাটি প্রত্যন্ত হওয়ায় আশপাশে কোনো বাজার নেই। সবাই বগুড়া জেলার সোনাতলায় গিয়ে বাজার করত। করোনার সময় এই বাজারটি গড়ে ওঠায় এখন খুব সহজেই এখানকার লোকজন প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনতে পারে।

বেশ কিছু লোকের কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেকার যুবকরা কর্মসংস্থান করে আয় করছে। কষ্ট করে এখন আর সোনাতলায় যাওয়া লাগে না। বাজারটি বিকেলে শুরু হয়ে অনেক রাত পর্যন্ত চলে। ধীরে ধীরে এই বাজারের দোকান বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991