গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার পদুমশহর গ্রামের লোকমানের কন্যা মোছাঃ লতিফা আক্তার লাবনী লতা (১৬) । সে পদুমশহর নতুন বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। গত ০৫ মাস পূর্বে মোছাঃ নিশা আক্তার (৩০) স্বামীঃ মোঃ শাহাদত হোসেন পিতাঃ মোঃ মজিবুর রহমান সাং- দক্ষিন চরমঙ্গল থানাঃ শষিভূষন জেলাঃ ভোলা এর সাথে লতার টিকটকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পরিচয় হয়। নিশা আক্তার বেশির ভাগ সময়ে লতার সাথে ইমো নাম্বার ব্যবহার করে যোগযোগ করত। কম বয়স ও টিকটক ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে নিশা আক্তার লতাকে চাকুরীর দেয়ার কথা বলে ও চট্রগ্রাম জেলার বিভিন্ন লোকেশনে টিকটক এ্যাপে ভিডিও তৈরির প্রলোভন দেখায়। নিশা আক্তারের কথার মাঁরপ্যাচে লতা রাজী হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০৯/০৫/২০২২ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় লতা প্রাইভেট পড়ার জন্য নতুন বন্দর স্কুলে যায়। স্কুলে থাকা অবস্থায় নিশা আক্তার লতাকে ফোন করে গাইবান্ধা যেতে বলে। চট্রগ্রাম থেকে নিশা আক্তার গাইবান্ধা বাসস্ট্যান্ডে আসে। ভিক্টিম লতা গাইবান্ধা গেলে নিশা আক্তার লতাকে নিয়ে বাসে করে তার ভাড়া বাসা চট্রগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার শোলশহর এলাকায় গিয়ে উঠে। কৌশলে নিশা আক্তার লতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। ইং ০৯/০৫/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুঃ ০৬.০০ ঘটিকায় লতার মা অনেক খোজাখুজি করে তার মেয়ের কোন সন্ধান না পাওয়ায় তিনি বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় জিডি করেন। উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ব্যাপক অভিযান ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ইং ১২/০৫/২০২২ তারিখ চট্রগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সর্বশেষ গত ইং ১৩/০৫/২০২২ তারিখ বিকেল ৩.০০ ঘটিকায় নিশা আক্তারের ভাড়া বাসা চট্রগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার গনি মাবিয়া ম্যানশন, ০৬ নং ওয়ার্ড পূর্ব শোলশহর এলাকায় অভিযান করে লতাকে উদ্ধার ও নিশা আক্তারকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিশা আক্তার একজন খারাপ প্রকৃতির মহিলা ও পতিতা বৃতির সাথে জড়িত। নিশা আক্তারের বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা দায়রের প্রুস্তুতি চলছে।
টিকটিক সহ যে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলে ও মেয়ে সহ তাদের অভিভাবকদের আরো সচেতন থাকতে হবে। অপরিচিত কাউকে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। আপনাদের ছেলে মেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখুন। এন্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার নজরদারিতে রাখুন। যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এ্যাপস ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।