গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। এ জাতির জাতিসত্তা রক্ষা, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারে এ দেশের আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। অগনিত মানুষের জীবন ও চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পুর্তিতে জাতীয়ভাবে সাড়ম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের নিমিত্তে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক ৫০টি কর্মসূচি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সানুগ্রহ অনুমোদিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধা এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আগামী ১৭ হতে ২৩ মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখে স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ, গাইবান্ধায় ০৭ দিনব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকা, লিফলেট, মাইকিং, কমিউনিটি রেডিও (রেডিও সারাবেলা) ও স্থানীয় ক্যাবল টিভিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামি ১৭ মার্চ, ২০২২ খ্রি. তারিখ বিকাল ৪.৩০টায় জনাব মোঃ অলিউর রহমান, জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধার সভাপতিত্বে “মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ জনাব মাহাবুব আরা বেগম গিনি, এমপি উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
সাত দিনব্যাপী উক্ত মেলায় জেলার সকল সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ৭৫টি। মেলার উদ্বোধনী দিন অর্থাৎ ১৭.03.2022 তারিখে রয়েছে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শনী, স্টল পরিদর্শন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবনীর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশুদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রতিদিন বিকাল ৪.০০টায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আরও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, প্রামাণা চিত্র প্রদর্শন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিন অর্থাৎ ২৩.০৩.২০২২ তারিখ বিকাল ৫.০০টায় রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ, আলোচনা সভা এবং সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। মেলায় আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা’ সফল করতে সকলের অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা কামনা করছি। জয় বাংলা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গাইবান্ধা নেজারত শাখা ।