রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধান: ধান চাষাবাদে বাঁচবে সময় ও কমবে খরচ এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু হয়েছে৷ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও তাদের সর্বাক্ষনিক তদারকিতে রবি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার সিড মেশিনের সাহায্যে দেড়শ বিঘা জমিতে উন্নতজাতের ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় রোপনকৃত ধান হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে কর্তনও করে দেবেন উপজেলা কৃষি অফিস। অতিরিক্ত উপজেলা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩০ জানুয়ারী সকালে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়ার পাতারে দেড়শ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পলাশবাড়ী উপজেলায় এই প্রথম জাপানি মেশিন ও জাপানি পদ্ধতিতে এ ধানের চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।
এর জন্য সরকার প্রণোদনা হিসেবে ৫ লাখ টাকা মূল্য মানের একটি জাপানি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার সিড মেশিন এবং দুইজন টেকনিশিয়ানকে এব্যাপারে বগুড়ায় ট্রেনিং করিয়ে এনেছেন। সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে খরচ এবং সময় উভয়ই কমে আসবে। বতর্মানে স্বল্প পরিসরে করলেও আগামীতে এটি বানিজ্যিক ভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, ট্রেতে বীজ উৎপাদন করে তা উচ্চতা ৩-৫ ইঞ্চি হলে তা ১৯-২৫ দিনের মধ্যে রোপন করা যাবে।ট্রেতে ধানের চারা বড় হওয়ার পর তা রোপনের জন্য জমি তৈরি করতে হবে।
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের বা মেশিনের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে জমিতে চারা রোপন করা যাবে। আধুনিক পদ্ধতিতে এই চারা রোপনের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে। দুই থেকে আট সারিতে একসাথে রোপন যন্ত্রে ব্যবহার করা যাবে। এই মেশিনের সাহায্যে মাত্র ৩০ মিনিটে ৩৩ শতাংশ জমিতে চারা রোপন করা যাবে। দেশে পাওয়ার ট্রিলার হালচাষের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে হারভেষ্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ এর উদ্বোধনের এসময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার ডিডি কৃষিবিদ মোঃ বেলাল হোসেন, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা কাওসার মিশু ছাড়াও অত্র ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষকগণ।