গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে ১২ বিঘা জমি নিয়ে দ্বন্দ কলোহ ও মামলা মোকদ্দমার জের ধরে প্রতিপক্ষ কর্তৃক ৯ বিঘা জমির ফসল কর্তন ও মারপিটের ঘটনায় উভয়ের পক্ষের ১৫ জন আহত হয়ে এদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফসল কর্তনের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে উভয়পক্ষের সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের পশ্চিম গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত মঞ্জু মিয়ার পুত্র বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামীম মিয়া গং দীর্ঘদিন থেকে ১২ বিঘা জমি নিয়ে ভাগী শরীক মৃত ছামছুল হকের পুত্র খোরশেদ মিয়ার সাথে দ্বন্দ ও মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছিল। ১৯৬৮ সাল থেকে উক্ত জমি শামীম গংরা ভোগদখল করে আসছিল। এর মধ্যে খোরশেদ গং উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৫ মে বৃস্পতিবার খোরশেদ গং কর্তৃক ভাড়াটিয়া ২ শতাধিক লোকজন কর্তৃক শামীম গং এর ফসলী ৯ বিঘা জমির কলার গাছ, পানের বরজ, বেগুন ও কচু ক্ষেত কর্তন করেছে বলে জানা যায়।
প্রভাষক শামীমের পরিবার দাবী করেন সকাল সাড়ে ৬টায় খোরশেদ গং তার ভাড়াটিয়া লোক দ্বারা দুইটি জমির ১ হাজার ৫’শ কলার গাছ, ২০ শতক পানের বরজ, ১৬ শতক কচু ক্ষেত ও ৩৩ শতক বেগুন ক্ষেত কর্তন করেন। ক্ষেত কর্তনের জের ধরে ৯টার দিকে খোরদের এর লোকজন শামীমের লোকজনের প্রতি অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ও মারপিট শুরু করে। এঘটনায় শামীমের পক্ষের ৯ জন আহত হয়। এর মধ্যে ৬ জন পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপক্ষে ভর্তি হয়েছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে খোরশেদ সহ আরও ২ জন আহত অবস্থায় পলাশবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফসল কর্তন ব্যাপারে খোরশেদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ১৯৬৮ সাল থেকে শামীমরাই উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছে। ২০০৬ সালে আদালতে মামলা করলে বর্তমানে উক্ত মামলার আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। মামলার রায়ের সূত্র ধরেই আমি উক্ত জমির ফসল কর্তন করেছি। এঘটনায় উভয়পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, পরিস্থিতি বর্তমান পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।