গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
রবিবার ফুলছড়ি উপজেলায় উড়িয়া ইউনিয়নে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের ফলে বাপ দাদার ভিটে মাটি শত শত বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এক বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করে ফুলছড়ি উড়িয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর।
বন্যার পানি কমতে শুরু করায় নদীর প্রবল স্রোতে কারণে ২ নং উড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য উরিয়া,কাটাদারার ঘাট,আমতলীর ঘাট, বানিয়াপাড়া ও রতনপুরের শত শত বিঘা জমি ঘরবাড়ি গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে ঐ এলাকার মানুষ । এর ফলে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।
এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়া ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া আমিরন বেগম বলেন হামার ঘর ভাংঙ্গি নদী মধ্যে গেছে সেজন্য বান্দত যায়া ঘর তুলছি স্যারেরা বলে গেছে (স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ) তিন মাসের বেশি বান্দত(বাঁধের উপর) থাকপ্যার দিবা নয়( অবস্থান করতে দেবেনা)
একই কথা জানিয়েছে ওই এলাকার নদী গর্ভে ঘরবাড়ি হারানো মাহবুব আলম তিনি বলেন দুই তিন মাসের বেশি আমাদেরকে ওই বাঁধে অবস্থান করতে দেবে না বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তিনি জানান এভাবে নদীগর্ভে শত শত বিঘা জমি ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়া হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদেরকে অন্তত এই এলাকার নদী ভাঙ্গন রক্ষার্থে জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করে অথবা টিউবব্যাগ দিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধ করে বাপ দাদার বসতভিটা জমা জমি রক্ষা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।
এসময় এলাকাবাসীকে একটি প্রশ্ন করা হলে আপনারা কি চাচ্ছেন ? একযোগে ঐ এলাকার সবাই বলে উঠছে আমরা ত্রাণ চাই না আমরা নদী ভাঙ্গন রোধ চাই।”
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জি.এম সেলিম পারভেজ, সভাপতি, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ তিনি জানান সাত দিন আগে গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা জানিয়েছিল এই এলাকার ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করার কথা দিয়েও সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নদি ভাঙ্গন রোধএর জন্য কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। কাজ হাতে না নিয়ে এই টালবাহানা কি জন্য করছে সেজন্য তিনি ঐ কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি ।
এদিকে আবু রায়হান নির্বাহী প্রকৌশলী গাইবান্ধা তার ব্যবহারিত অফিসিয়াল নাম্বারে ফোন দিলে তিনি ফোন দিলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃশহীদুল ইসলাম, তিনি বলেন এতদিন পর্যন্ত যদি ডেপুটি স্পিকার, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, মিয়া সুস্থ থাকতেন তবে এই এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতেন। তিনি অসুস্থ থাকায় এই এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পারছেন না। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। এর আগে এই এলাকা মানুষের নদী ভাঙ্গন কবলিত জায়গা গুলো তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নদী ভাঙ্গন রোদে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন মানুষের অনেক সহযোগিতা করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানববন্ধন কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মাসুম, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা ,সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।