গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা আমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার নেমেছেন গোলকধাঁধাঁর খেলায়। পরস্পর যোগসাজস করে নিয়োগ পরীক্ষায় নিজস্ব প্রার্থী টেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ নিয়োগ নিয়ে তাদের যাদুর কাঠির স্পর্শে শুধু এলাকায় নয় বহিরাগত অনেক প্রার্থীও আবেদন করা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় যেমন ক্ষোভ বাড়ছে তেমনি এ নিয়োগ বন্ধের দাবী তুলেছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক কুপতলা আমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৩ পদে লোক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়। এগুলো হচ্ছে ১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী,১জন নৈশ্য প্রহরী বা নিরাপত্তাকর্মী ও ১জন আয়া। এ নিয়োগে মাদ্রাসার সভাপতি সানোয়ার হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সুপার আঃ মালেক সালাফী পরস্পর যোগসাজশ পূর্বক গোপন আঁতাতের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে নিজস্ব পছন্দের প্রার্থীদের টেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্নের নিয়ম থাকলেও তা তোয়াক্কা না করে গোপনে নিয়োগ সম্পন্নের প্রত্যাশায় গত ৮ মে ২০২২ ইং তারিখে স্থানীয় দৈনিক মাধুকর ও জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও প্রকাশিত এ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি এলাকায় অনেকের কাছে অজানা। ফলে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও তারা আবেদন করা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। অনেকেরই মন্তব্য এ নিয়োগে পর্যাপ্ত আবেদন যাতে না পড়ে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপারের এটি একটি ফন্দিফিকির। তারা এ সুযোগকে কাজে লাগাতে নিজস্ব পছন্দের প্রার্থীর পাশাপাশি নামমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঠিক করে আবেদনপত্র জমা নিয়েছেন। যাতে করে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের টেকানো যায়। গত ২৪ মে ২০২২ ইং তারিখে সাপ্তাহিক “গাইবান্ধার বুকে” পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগের এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মাঝে যেমন ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে তেমনি দাবী তুলেছেন এ নিয়োগ বন্ধ হবে কি? বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে অদ্য ২৮-০৫-২০২২ ইং তারিখ বিকেল আনুমানিক ৬ টায় সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে জানান,প্রতিটি পদের বিপরীতে ৪টি করে আবেদন জমা পড়েছে।অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে তিনি এড়িয়ে যান। (অনুসন্ধান চলবে)