গাইবান্ধার জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের স্কুল বাজার এলাকার বিএমকে-২ ব্রিক্স নামের ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বোরোধানের জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপুরনের টাকা দিলেন ইটভাটার মালিক পক্ষ। বিভিন্ন পত্রিকায় ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় কৃষকের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির বিষয়টি প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। পরে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন উক্ত ভাটার মালিক পক্ষকে ডেকে কৃষকের ফসলের ক্ষতিপুরণের নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী ভাটামালিক পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জমির মালিকদের তালিকা তৈরী করে তাদের ক্ষতির পরিমান নিরূপন করে সেই ক্ষতির টাকা গতকাল কৃষকদেরকে বুঝে দেন বলে বিশ্বস্ত সূতে জানা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লুৎফর রহমান ক্ষতিপুরনের টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন- এখন এই টাকা দিয়ে ধান কিনে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে। ক্ষতিপুরনের টাকা পেয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কথা জানালেন কৃষক নগেন রবিদাস, আমিনুর ইসলাম,সাদা মিয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো অনেকে । ইট প্রস্তুতকারী ভাটার স্বত্তাধিকারী মনির হোসেন মনির জানান, ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতি এই প্রথম, এর আগে তার ভাটায় এধরণের দুর্ঘটনা কখনো ঘটেনি, ভবিষ্যতেও ঘটবেনা। আবহওয়া প্রতিকুল থাকার কারণে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কৃষকদের ফসলের ক্ষতির পরিমান নিরূপন করে ৪৫ জন কৃষককে ক্ষতিপুরন দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর থাকবে। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, কৃষকের ক্ষতিপুরন দেয়ার জন্য ভাটা মালিক পক্ষকে বলা আছে। ক্ষতিপুরনের টাকা দেয়ার কথা শুনেছি।