গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রবাসীর স্ত্রী ঘরের বারান্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জাথালিয়া স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের নাম আলিয়া বেগম (২৫) উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জাথালিয়া গ্রামের আজগর মোল্লার মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ছয় বছর আগে জাথালিয়া গ্রামের প্রবাসী আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে পারিবারিক ভাবের বিয়ে হয় আলিয়া বেগমের। আলিয়ার স্বামী যখন দেশে থাকতো তখন একই গ্রামের মোকলেছ নামে এক যুবক তার সঙ্গে বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। রাজ্জাক তার স্ত্রীর সঙ্গে মোকলেছে কে ভাগ্নে বলে পরিচয় করে দিয়েছিলো। কিছু দিন পর রাজ্জাক আবার প্রবাসে চলেযায়।
রাজ্জাক প্রবাসে চলে যাওয়ার পরও মোকলেছ প্রায়ই ওই বাড়িতে যাওয়া আসা করতো আর আলিয়া বেগমকে মামী বলে ডাকতো। কিছু দিন যেতে না যেতেই দুজনে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। গোপনে নোটারী পাবলিক (কোর্ট ম্যারেজ) করে।
বিয়ের বিষয়টি গত ৪ থেকে ৫ দিনে আগে হৃদয়ের ভালোবাসা নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে তারা দুজন যে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করেছে সেই স্ট্যাম্পে আলিয়া বেগম ছবি ও মোকলেছের ছবিসহ ভাইরাল হয়।
এ বিষয় নিয়ে এলাকায় লোকজনের মাঝে নানা কথোপকথন শুরু হয়। পরে বিষয়টি আলিয়ার বাবা আজগর মোল্লা জানতে পেরে মেয়ের স্বামীর বাড়ি আসে। এসে তার মেয়ের কাছে জানতে চায় মোকলেছের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে তাকে বিয়ে করেছে কিনা। তখন তার মেয়ে কোন সম্পর্ক নাই বলে অস্বীকার করে।
এবিষয়ে গত রোববার আলিয়া বেগম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনো তদন্ত করতে আসেনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে আলিয়া বেগম স্বামীর বাড়ির ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কালিয়াকৈর থানার অধীনস্থ ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সোহেল মোল্লা জানান, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।