বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
ঘোষনা
র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার ১৪তম মুখপাত্র দায়িত্ব পেয়েছেন: ইন্তেখাব চৌধুরী রাণীশংকৈলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু বগুড়া আইএইচটি উদ্যোগে পালিত হলো “World Laboratory Day” ভোলায় একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন ও ভোলার গ্যাস ভোলাবাসীর ঘরে ঘরে সংযোগ প্রধানের দাবিতে মানববন্ধন চরফ্যাশন, মুজিব নগর ইউনিয়নে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক তিন কমলনগরে প্রকাশিত নিউজ ‘বিকৃত করে প্রচার করায়’ আদালতে মামলা সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুকে মারপিঠ অহেতুক জেল জরিমানার প্রতিবাদে তালা প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ ও  মানববন্ধন রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে ৯৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে ফোন দিয়ে’ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ, শিশুসহ নারীর মৃত্যু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৪ বার পঠিত

আলমগীর হোসেন সাগর স্টাফ রিপোর্টার:গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে ফোন কল দিয়ে ‘আর ফিরবেন না’ জানিয়ে শিশুকন্যাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন গৃহবধূ। এতে ঘটনাস্থলেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এক বছর বয়সী শিশুকন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে সেও মারা যায়।

 

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।

 

পারিবারিক কলহের কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্বামী।

 

গৃহবধূ নাসরিন আক্তার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাঙ্গাব গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার এনামুল হক বিশ্বাসের কন্যা। স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুরে থাকতেন নাসরিন আক্তার। ১১ মাস বয়সী শিশুকন্যা রওজাতুল জান্নান রাফসা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।

 

প্রত্যক্ষদর্শী পারভীন আক্তার বলেন, ওই নারী সকাল থেকে সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি আম গাছের নিচে বসে ছিলেন। ওই নারী মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কথাবার্তা বলে কান্নাকাটি করেন। এর কিছুক্ষণ পর ময়মনসিংহগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন এলে ওই নারী তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে শিশুটি ট্রেনের ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়ে। নারীর মাথা থেঁতলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে, ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত শিশুকে আমি উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।

চিকিৎসক দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। ততক্ষণে শিশুর বাবা রাসেল ও চাচা সাগর হাসপাতালে আসেন। শিশুকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নিয়ে যান তাঁরা।

 

নিহতের স্বামী মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভাড়া থাকি। স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করি। তিন দিন ধরে আমি কর্মস্থলে যাচ্ছি না।

এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। সামান্য ঝগড়াঝাঁটি হয়। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে এ রকম সমস্যা তো হয়েই থাকে। আজ তাকে মারধর করিনি। আজ সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। মোবাইল ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই ফোন রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে স্ত্রী জানায়, সে মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে চলে গেছে, আর ফিরবে না।’

 

রাসেল মিয়া আরও বলেন, ‘আমি বিছানা থেকে তড়িঘড়ি করে উঠে স্ত্রীর ফোনে আবারও কল দিয়ে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করি। কিন্তু সে কিছুই জানায়নি। আমি অনেক চেষ্টা করেও তার লোকেশন পায়নি। এর কিছুক্ষণ পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। হাসপাতালে এসে শিশুকন্যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাই। শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার দিকে রওনা হই। পথেই মারা যায় আমার বাচ্চাটা! স্ত্রীর মরদেহ কোথায় আছে বলতে পারব না।’

 

নিহতের দেবর সাগর মিয়া বলেন, ‘মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থলে ভাবির মরদেহ পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুকন্যাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা করি। কীভাবে কী হয়েছে কিছুই বলতে পারব না!’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ভাই-ভাবির কলহের বিষয়ে কিছুই জানি না। পারিবারিক কলহের বিষয়টি কোনো দিন আমাকে জানায়নি।’

 

সাতখামাইর বাজারে ওষুধ ব্যবসায়ী মারুফ প্রধান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখি, গুরুতর আহত শিশু রেললাইনের একটু দূরে পড়ে আছে। পাশের মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ। এরপর আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। নারীটি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যায়।’

 

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুস্মিতা সাহা বলেন, গুরুতর আহত শিশুটিকে এক নারীসহ কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর মৃত্যুর বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991