 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা জেলেপাড়া এলাকায় পুলিশের ধাওয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর বানার অংশে ঝাঁপিয়ে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে বরামা-সিংশ্রী সেতুর পাশে মরদেহ মিলেছে। রোববার বিকেল থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। নিহত মোঃ মামুন (২৪) ওই এলাকার মো. নূরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বানার নদের বরামা-সিংহশ্রী সেতুর নিচে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। এরপর পুলিশকে জানানো হয়। এর আগে রোববার ও সোমবার সেতুর অদুরে জেলেপাড়া এলাকায় দফায় দফায় অনুসন্ধান চালায় ডুবুরি দল।
নিহত যুবকের বড় ভাই মাসুম মিয়া জানান, গত রোববার বিকেলে একটি দোকান থেকে মামুন ইফতার সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাকীল আহমেদের নেতৃত্বে মোট চারজন সাদা পোশাকধারী এসে তাকে গ্রেপ্তার করে মারধোর শুরু করেন। এক পর্যায়ে মামুন পাশের বানার নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ডুবুরি দলকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মামুনের হদিস পায়নি। মাসুম দাবি করেন, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে আটক করেছিল পুলিশ সদস্যরা।
মাসুম মিয়া আরও বলেন, মামুনের লাশের মাথার পেছনের দিকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মামুন মিয়াকে আটক ও পরবর্তী ঘটনা বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজনে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাকীল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, মঙ্গলবার সকালে মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।