আলমগীর হোসেন সাগর স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর শিশু মারিয়া আক্তার (৭) এর কু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামীকে আটক করেছে গাজীপুর বাসন থানা পুলিশ।
শিশু মারিয়া আক্তার (৭), শেরপুর জেলা নলবাইদ এলাকার মোঃ মনজুরুল ইসলাম এর মেয়ে। বর্তমানে গাজীপুর সদর চান্দনা চৌরাস্তা (আব্দুল হালিমের বাসার ভাড়াটিয়া)। মারিয়া আক্তার গাজীপুর চান্দনা প্রতিভা মডেল একাডেমী স্কুলেট নার্সারীতে পড়াশুনা করতেন।
আটককৃত আসামী হলেন, মোঃ জুয়েল (৩৯)।
মেহন্দীগঞ্জের,বরিশাল জেলার উলানিয়া এলাকার আঃ লতিফ এর ছেলে। বর্তমানে গাজীপুর সদর চন্দনা চৌরাস্তা বৌ বাজার আব্দুল হাকিম এর বাসার ভাড়াটিয়া।
গত( ১৪ জানুয়ারি)রবিবার বিকালে মারিয়া বাসার উঠানে যায়। সন্ধ্যা অতিবাহিত হওয়ার পরও শিশু মারিয়া বাসায় ফিরে না আসায় মারিয়া বাবা- মা তাদের ভাড়াটিয়া বাসার আশপাশসহ বিভিন্ন জায়গায় মারিয়া আক্তার কে খোঁজাখুজি করে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার সময় লোক মারফত জানতে পান যে, গাজীপুর সদর ১৮নং ওয়ার্ড বাসন থানাধীন তেলিপাড়া এলাকায় মৃত হযরত আলী ড্রাইভারের জমির ঝোপঝাড়ের ভিতর ছোট খেজুর গাছের পাশে শুকনা লতা-পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মৃত দেহ পড়ে আছে।
এলাকাবাসী ও শিশুর বাবা ও মা কে সঙ্গে নিয়া ঘটনাস্থলে গিয়া শিশু মারিয়ার মৃত দেহ দেখে শনাক্ত করে। পরে বাসন থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু মৃতদেহ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
পরে শিশুর পিতা মোঃ মনজুরুল ইসলাম (৩৪) এর দাখিলকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে বাসন থানায় অজ্ঞাতনামা খুনিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
মামলাটি তদন্তকালে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জনাব আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাসন থানার একটি চৌকস টিম গঠন করে সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ, স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করে জিএমপি গাজীপুর বাসন থানা এলাকা হতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামি কে ভাড়াকৃত গাজীপুর চন্দনা চৌরাস্তা বৌ বাজার আব্দুল হাকিম এর বাসা হতে আটক করে।
তিনি আরো বলেন, আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, ভিকটিমের বাবার সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে শিশু মারিয়া আক্তার কে কৌশলে উল্লেখিত স্থানে নিয়ে গিয়ে হাত পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের ঝোপঝাড়ের ভিতর গাছের লতা-পাতা দিয়া লাশ ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়।