বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

গোদাগাড়ীতে আমানুল্লাহ খুনের রহস্য, উদঘাটিত আদালতে খুনির স্বীকারোক্তি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আমানুল্লাহ খুনের রহস্য উদঘাটিত করেছ পুলিশ, ১৬৪ ধারায় খুনির স্বীকারোক্তি দিয়েছে আসামি।

 

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার নারায়ণপুর গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামানের পুত্র মোঃ আমানুল্লাহ ইমন (২২) খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪) এবং মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫)। মোঃ আমানুল্লাহ খুনের ঘটনায় মোঃ আবু বক্করকে সম্পৃক্ত করে মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ খুনের দায় স্বীকারপূর্বক রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

 

অভিযুক্ত মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামস্থ মোঃ আজিজুর রহমানের পুত্র এবং মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ চাঁপাই নবাবগঞ্জের সদর থানাধীন সাতনইল দক্ষিণপাড়ার মো: আব্দুল হান্নানের পুত্র।

 

অভিযুক্ত মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ পেশায় ট্রাকচালক এবং মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ ট্রাক চালকের হেলপার।

 

এ খুনের ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরই গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দপূর্বক লাশের পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করে। রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অফস্) মোঃ খায়রুল আলমের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) এম এ কুদ্দুস এই ক্লুলেস খুনের ঘটনায় দুইজনের সম্পৃক্ততা পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদকে গোদাগাড়ী এবং মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফকে চাঁপাই নবাবগঞ্জের সদর থেকে গ্রেফতার করে গত ৩১ ডিসেম্বর রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করেন।

 

অভিযুক্ত মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মোঃ আমানুল্লাহকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। অভিযুক্ত নাহিদের জবানবন্দিতে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর ভিকটিম আমানুল্লাহর নিকট পাওনা ১০,০০০ টাকা সংগ্রহের জন্য সে তার হেলপার আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফকে পাঠালে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

 

এতে ক্রোধান্বিত হয়ে সে ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ আমানুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি জুতার ফিতা, একটি ব্লেড ও একটি সাদা গেঞ্জি সংগ্রহ করে।

 

আমানুল্লাহ গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামের মোঃ আব্দুল খালেকের রথিরামের ভিটায় আসলে পিছন থেকে নাহিদ জাপটে ধরে এবং আবু বক্কর গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিলে ভিকটিমের শ্বাস বন্ধ হয়।

 

এরপর আবু বক্কর ব্লেড দিয়ে ভিকটিম আমানুল্লাহর গলায় পোচ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে কৌশলে দুইজনই পালিয়ে যান।

 

উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর মো: আমানুল্লাহ খুন হলে বাদি হয়ে ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যের পিতা মোঃ কামরুজ্জামান গোদাগাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991