ক্রাইম রিপোর্টারঃ রাজশাহী গোদাগাড়ীতে নৃসংশভাবে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে বাড়ি ও জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের বসতবাড়িতে এ ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে জালাল উদ্দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিন জানা যায়, গত ৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে একই এলাকার আদিবাসী গাহানু সরদারের ছেলে মোহনলাল ও জহুরলাল চৌদুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল স্থানীয় ও বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে জালাল উদ্দীন ও তার দুই সন্তানের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা বাড়ির নারী সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলেও জানান জালাল উদ্দীন। সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে তারা পালিয়ে গেলে হাবিবুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করে বাড়ি ভাংচুর করে। সেই সাথে ১০টি গরু ও ২০টি ছাগল, যার আনুমানিক মুল্য ৯ লাখ টাকা এবং বাড়ি ভেঙে ঘরে থাকা চাল, ধান ও সরিষা, যার আনুমানিক মুল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার পণ্য নিয়ে তারা চলে যায়। সেই সাথে বাড়ি করার প্রায় ২০ হাজার ইটও হাবিবুর রহমান নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জালাল উদ্দীন।
জালাল বলেন, তিনি প্রায় ৪০ বছর আগে গাহানু সরদারের কাছ থেকে এই সম্পত্তি ক্রয়সুত্রে ১২ হাজার টাকায় হাত বায়নায় চুক্তিবদ্ধ হন। তখন থেকে জালাল উদ্দিন তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এই সম্পত্তিতে বসবাস করছিলেন। গাহানু সরদারের মৃত্যুর পর মোহনলাল ও জহরলাল এই সম্পত্তি থেকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে এবং নিজের দখলে নেয়। এ বিষয়ে তিনি গোদাগাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাদের আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। গত ৮ মার্চ জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে রাজশাহী আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন।